অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : অভাবের সংসার। নিত্যদিন আর্থিক টানাটানি। চা বিক্রি করে পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছিল না। কিছু বাড়তি উপার্জনের আশায় লটারির টিকিটের ব্যবসায় নেমেছিলেন মালদার এক যুবক। হতদরিদ্র সংসারে লটারির টিকিট কেনার মতো বিলাসিতা আদৌ ছিল না তাঁর। আর সেই লটারির টিকিট বিক্রির হাত ধরেই কপাল ফিরল তাঁর রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন মালদার চা বিক্রেতা কমল মহলদার। তাঁর বয়স ৩৫। বিক্রি না হওয়া লটারির টিকিটে বাজিমাৎ হল।
চা বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে লটারির টিকিটও বিক্রি করতেন তিনি। সোমবার বিকেলে ১২০ টাকার টিকিট অবিক্রিত থেকে যায় কমল মহলদারের। সেই টিকিটেই ভাগ্য খুলে যায় কমলের। সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে জানতে পারেন তার অবিক্রিত টিকিটে এক কোটি টাকার পুরস্কার লেগেছে।
প্রথমটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। বারেবারে মিলিয়ে নিশ্চিত হন তিনি। এরপর আরও কোন ঝুঁকি না নিয়ে সটান হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় হাজির হন কমল মহলদার। সঙ্গে ছিল লটারির টিকিট। কমল মহলদারের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা হাটখোলা গ্ৰামে। বাড়িতে স্ত্রী দুই সন্তান ও বয়স্ক বাবা, মা আছেন। মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রেতা। লটারি থেকে যে টাকা পাবেন তা দিয়ে দুই সন্তানকে ভালো শিক্ষার পেছনে খরচ করবেন কমল মহলদার। আপাতত এমনটাই ভেবে রেখেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে শশুরবাড়ি এসে কোটিপতি হয়েছিল জামাই । ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম বর্ধমানে জামুড়িয়া । জামুড়িয়ার শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রীধর রুইদাসের শশুরবাড়ি ওই থানা এলাকারই শিবপুরে । পেশায় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী সকালে শশুরবাড়ি এসেছিলেন । কিছু সময় পর ওই দিন বাইরে বেরিয়ে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি একটি লটারির টিকিট কেনেন । সেই দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন লটারির প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা তিনি জয়লাভ করেছেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায় । নিরাপত্তার স্বার্থেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছিল ।ওই টাকা দিয়ে মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করতে চান বলে জানিয়েছিলেন শ্রীধর ।