করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক: অপসারণ নিয়ে এবার সরাসরি মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অপসারিত সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস। 


এদিন সরাসরি মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে আক্রমণ করেন টিঙ্কুর রহমান। অপসারিত সভাপতি জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে ওখানে আছেন। আরেকজন এখানে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। ক্ষমতার দম্ভে এখন নিজেকে বিশাল কিছু মনে করছেন। উনি আসার পর থেকে প্রত্যেকটা জায়গায় অনাস্থা হচ্ছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। 


যদিও এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির ব্যাপারে তার কোনও ইন্টারেস্ট নেই। এই বিষয়ে যা বলার ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব বলবে। 


দলীয় সদস্যদের ডাকা অনাস্থায় মঙ্গলবার অপসারিত হন টিঙ্কুর রহমান। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে দলীয় নেতাকে সরাতে বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে হাত মেলায় তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। 


কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১৩টি আসন। বিজেপির দখলে ৫, কংগ্রেসের ৩ ও ১টি আসন সিপিএমের। 


বিজেপির ৫ ও কংগ্রেসের ২ সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের ৭ জন সদস্য অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে হেরে অপসারিত হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস। 


অপসারণকে কেন্দ্র করে মালদার কালিয়াচকে সামনে এল ঘাসফুল শিবিরের ঘরোয়া কোন্দল। অপসারিত সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, দলে গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আমি তার শিকার। 


যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল সদস্যদের দাবি, বিধানসভা ভোটে দলবিরোধী কাজের জন্যই সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়।  পঞ্চায়েত সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, সভাপতি বিধানসভা ভোটে দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন টিঙ্কুর। সেই কারণেই অনাস্থা। 


সভাপতি অপসারণ নিয়ে শাসকদলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।