মালদা : প্রশ্ন একটা নয়, গুচ্ছ প্রশ্ন যা তুলে দিয়েছে মালদা হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড। কেন খুন, মাথা কে, কেন কোনও ইনটেলিজেন্স ইনপুট পুলিশের কাছে ছিল না এই প্রশ্ন একেবারে শাসক দল থেকে তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রী। 'এটা অনেক দিনের অনেক জনের মাথা থেকে প্রসূত বিষয়' বলে অভিযোগ তাঁর।
নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার এদিন বলেন, "এই মুহূর্তে আমরা বিশেষ কিছু বলার নেই। কারণ এখনই দাহ করে ছেলে ফিরছে। আমার মানসিক অবস্থাও এখন সেভাবে স্থিলিশীল নেই। আমিও বুঝে উঠতে পারছি না কারা এবং কেন এই ঘটনা ঘটাল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি আমায় আশ্বাস দিয়েছেন যে, বিষয়টি দেখছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এতদিনের ওঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। উনি অবশ্যই দেখবেন। আমি আশা করি, আমার স্বামী আজ এভাবে গেল, তার বিচার আমি সঠিক পাব। কিছু হয়তো...আমাদের উচ্চতর নেতৃত্বের কাছে পৌঁছয় কি পৌঁছয় না জানি না। আমাদের যা কথা দলের সঙ্গে কথা হবে। এই মুহূর্তে আমার একটাই দাবি, যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত এবং শাস্তির যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক। এটা কখনোই সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। কারণ, যেভাবে তাঁর উপরে গুলি চালানো হয়েছে, সেটা শুধুমাত্র একটা সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। এটা অনেক দিনের অনেক জনের মাথা থেকে প্রসূত বিষয় বলে মনে করছি।"
এদিকে পুলিশ মনে করছে., দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় একজন মাস্টারমাইন্ড নয়। বেশ কয়েকজন জড়িতে থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালদায় ছিল দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতাকে খুনের আগে রেকি করা হয়, নজর রাখা হয় তাঁর গতিবিধি ওপর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল গ্রেফতার হওয়া ২ ব্য়ক্তি সুপারি কিলার।
দিনের আলোয় ধাওয়া করে তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথম গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পরও...দুলাল সরকারের মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর মাথায় গুলি করে সুপারি কিলাররা! কিন্তু মালদায় তৃণমূল নেতাকে খুনের মোটিফ কী ছিল ? তা নিয়েই চলছে তদন্ত। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সামি, আব্দুল গণি ও ইংরেজবাজারের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষকে । তৃণমূল নেতাকে খুনের পর, মানিকচক হয়ে... বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ১ জন বিহারে পালিয়ে যেতে পারলেও, পালানোর সময়ই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।