করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ (Arms) গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। আর এনিয়েই বাগ্যুদ্ধে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি (TMC vs BJP)।
আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
পুলিশের জালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা। বাজেয়াপ্ত করা হল আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃতের বিরুদ্ধে উঠেছে এলাকাবাসীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে ভালুকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা পূরণ মুসাহারকে।
তাঁর কাছ থেকে একটি লাইসেন্সহীন বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি কোথা থেকে বন্দুক পেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃত তৃণমূল নেতা পূরণ মুসাহার ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান মিনু মুসাহারের স্বামী। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে মত্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কয়েকজনকে ভয় দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা পূরণ। এখবর পেয়েই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনায় শুরু বিজেপি-তৃণমূল তরজা
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক কিষাণ কেডিয়ার কথায়, 'সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতেই একাজ করেছেন ওই নেতা।'
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'দল কাউকে দাদাগিরি করার লাইসেন্স দেয়নি। তৃণমূলের নাম করে কাউকে ভয় দেখাবে এটা হবে না।'
চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে, ধৃত তৃণমূল নেতাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অন্যদিকে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে মালদায়। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় অভিযোগকারীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদার চাঁচলে এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনাতেও স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।