করুণাময় সিংহ, মালদা: তৃণমূল পরিচালিত রতুয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণ ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল শাসক-কোন্দল। বিজেপি ও কংগ্রেসের সমর্থনে দলের সভাপতিকেই সরিয়ে দেয় তৃণমূলের একাংশ। অপসারণের নেপথ্যে দলের জেলা সভাপতির হাত দেখছেন শাসক নেত্রী। অভিযোগ উড়িয়ে, তৃণমূল জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালদার রতুয়া ১ এর পর রতুয়া ২। ফের বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। রতুয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ২৪ জন সদস্যের মধ্যে ২১ জন তৃণমূলের, ২ জন বিজেপির ও এক জন কংগ্রেস সদস্য। শুক্রবার তিন বিরোধী সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে, ১১ জন তৃণমূল সদস্য অনাস্থা এনে দলের সভাপতিকে সরিয়ে দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির এই অপসারণ ঘিরে, মালদার রতুয়ায় তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। অপসারিত শাসক নেত্রীর অভিযোগ, জেলা সভাপতির মদতে তাঁকে সরানো হয়। অপসারিত নেত্রী সুমিত্রা সরকার বলেন, ‘বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের তৃণমূল পার্টি অনাস্থা আনে,আমার মনে হচ্ছে জেলা সভাপতির মদত না থাকে তাহলে উনি দেখে নিতে পারতেন না, রহিম বক্সীর অঞ্চলের লোক, এমএলএ-র এক প্রতিনিধি বলেছিলেন ২০ লাখ টাকা দিলে বোর্ড বেঁচে যাবে।’
মালদার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘চেষ্টা করেছি সভাপতিকে রাখার কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি, যারা অনাস্থা এনেছে তাদের বিরুদ্ধে হুইপ দিয়েছি, যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, রহিম বক্সী টাকা চাওয়ার লোক কিনা মানুষ বলবে।’
রতুয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির অপসারণ ঘিরে, তৃণমূলকে কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। জেলার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে, নতুন সভাপতি আসার পর এই ঘটনা আরও বাড়ছে।’ রতুয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদটি তফশিলি জাতি-মহিলার জন্য সংরক্ষিত। নতুন সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।