করুণাময় সিংহ, মালদা: পদের (position) অপব্যবহারের (misuse) অভিযোগ রতুয়ার তৃণমূল (TMC) নেত্রীর (leader) বিরুদ্ধে। একাংশের ক্ষোভ, পদ ব্যবহার করে স্বামী (husband) আফসার আলিকে রেশন ডিলারশিপ (ration dealership) পাইয়ে দিয়েছেন মালদার (malda) রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভিন। এর মধ্যেই জেলাশাসক (DM) খাদ্য দফতরে (food department) লিখিত অভিযোগ (complaint) দায়ের হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, প্রতিক্রিয়া জেলা খাদ্য় নিয়ামকের।
কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর এলাকায় রেশন ডিলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। সেই অনুযায়ী রেশন ডিলার নিয়োগও করা হয়েছে। কিন্তু এই নিয়োগ ঘিরেই বিতর্ক। ওই এলাকার রেশন ডিলারশিপ পেয়েছেন রতুয়া ১ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রুকসানা পারভিনের স্বামী আফসার আলী। অভিযোগ ,নিয়ম না মেনে তাঁকে রেশন ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেলা খাদ্য দফতর ও মালদা জেলাশাসকের কাছে। সূত্রের খবর, মেল করে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। রেশন ডিলারশিপের জন্য আর এক আবেদনকারী শেখ আতাউরের অভিযোগ, সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ' প্রভাব খাটিয়ে স্বামীকে ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।' যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী রুখসানা পারভিন। তাঁর যুক্তি, 'আমি ২০২২ সালে পদ পেয়েছি। রেশন ডিলারশিপের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আগে থেকেই চলছিল।' ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকায়।
রাজনৈতিক চাপানউতোর...
দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির কর্মী জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই টাকা ছাড়া তৃণমূলে কোন কাজ হচ্ছে না। চাকরি থেকে রেশন ডিলারশিপ সব বিক্রি হচ্ছে।' যদিও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'দলবল বলে কোন কথা নেই, অনিয়ম হলে ডিলারশিপ ক্যানসেল হবে।' জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরে নিয়ামক মানিক সরকারের বক্তব্য, 'অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।' উল্লেখ্য, দুর্নীতি প্রশ্নে এই মুহূর্তে শাসকদলকে তীক্ষ্ণ ভাবে বিঁধে চলেছে বিরোধী শিবির। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী, পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ছিল, যোগ্যতম প্রার্থীর চেয়ে কম নম্বর পেয়েও শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছিল অঙ্কিতাকে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে অভিযোগের সত্যি হওয়ার প্রমাণ পেয়ে মন্ত্রীকন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাঁকে সমস্ত বেতন ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন:ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া পদক, ইতিহাস ভিনেশের