করুণাময় সিংহ, মালদা : মালদার (Malda) পুকুরিয়ায় তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তৃণমূল কর্মী সাদেক আলি। মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও আসে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। সাদেক আলিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। যদিও এনিয়ে এখনও দলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


পরিবার ও তৃণমূলের একাংশের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, দলে অন্তর্কলহের ফলেই খুন হতে হয়েছে সাদেক আলিকে। এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিলই। দল যাকে প্রধান করতে চেয়েছিল, তাতে সম্মতি দেননি তৃণমূলের চার জন পঞ্চায়েত সদস্য। এই চার জন সদস্য কংগ্রেস এবং সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোর্ড গঠন করেন। যদিও সেখানে তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই সাদেক আলিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। 


গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদেক আলি। তিনি ছিলেন শ্রীপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা আনোয়ারা বিবির স্বামী। জানা যাচ্ছে, রাতে একবার ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালে তাঁর ছেলের ফোনে কল আসে। নতুন করে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। ফোন আসার ঘণ্টা তিনেক পরে অবশ্য বাড়ি থেকে দেড়শো থেকে দু'শো মিটার দূরে ঝোপ থেকে সাদেক আলির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুকুরিয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


গত মাসের ২৯ তারিখে মালদাতেই জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হন সইদুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী। খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস নেতা এমদাদুল হক সহ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। 


দিনের আলোয়, সবার চোখের সামনে খুন । ঘরে ঢুকে পরপর গুলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকেন মালদার চাঁচলের জালালপুরের বাসিন্দারা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩২ বছরের সইদুর রহমানের। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, এক বিঘা জমি নিয়ে ৩-৪ বছর ধরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এমদাদুল হকের পরিবারের সঙ্গে বিবাদ চলছে। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।


অভিযোগ, দলবল নিয়ে জমি দখল করতে যান কংগ্রেস নেতা। বাধা দেওয়ায়, সইদুরের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মাথায় ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সইদুরের। দেহ তুলতে বাধা দিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়দের একাংশ। উত্তেজিত জনতা লাঠি হাতে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ আটকে দেয়।