করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার (Malda) চাঁচলে (Chanchal) বিজেপির ধর্না (BJP Dharna Mancha) মঞ্চের প্রস্তুতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) বিরুদ্ধে। বিজেপির ফ্ল্যাগ খুলে নেওয়া হয় এবং মাইক ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। 


কী ঘটেছিল?
ভেঙে পড়ে রয়েছে মাইক। অভিযোগ খুলে নেওয়া হয়েছে বিজেপির ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে বিজেপির ধর্না মঞ্চের প্রস্তুতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠল মালদার চাঁচল। চাঁচল পুরসভা তৈরি না হওয়ার প্রতিবাদে সোমবার স্থানীয় নেতাজি মোড়ে ধর্নার ডাক দেয় বিজেপি। সেই কর্মসূচির জন্যই বিজেপির মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল রবিবার গভীর রাতে। অভিযোগ মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বিজেপির ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন খুলে নেওয়া হয় এবং মাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। চাঁচল, ১ নম্বরের বিজেপি আহ্বায়ক, প্রসেনজিৎ শর্মার কথায়, 'তৃণমূলের কিছু নেতা ছাত্র নেতা মদ্যপান অবস্থায় আসে এবং আমাদের মাইক লাগাতে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে চড়াও হয় আমাদের উপর। আমাদের কর্মীদের ও আমাকে মারধর করে। ওদের হাতে রড ডান্ডা ছিল। চড় চাপাটি এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে।' পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাল্টা তাদের কর্মীদের মারধরের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মালদায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, বাবু সরকারের বক্তব্য, 'আমি বারণ করেছি রাতে ফ্ল্যাগ লাগাতে। বলেছি দিনের বেলা ফ্ল্যাগ লাগাতে। আর কিছু নয়। মারধরের কথা মিথ্যা কথা। ওরা আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে। এগুলো তাদের মনগড়া অভিযোগ।' এই ঘটনার জেরে এদিন ধর্না দেয়নি বিজেপি। প্রসঙ্গত, এদিনই বিরোধীদের  হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। 

কী ঘিরে বিতর্ক?
'আগামী দিনে তৃণমূল ছাড়া এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না, কোন কর্মী থাকবেন না। শুধু থাকবে তৃণমূল', অভিযোগ এমনই কথা শোনা গিয়েছে চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়কের মুখে। গত কাল অর্থাৎ সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোণার কৃষ্ণপুর গ্রামে  অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিলে আসেন অরূপও। মিছিল শেষে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিরোধীদের এমন "হুঁশিয়ারি" দিয়েছেন বিধায়ক। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরমে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয় এই রাজ্যে। বিশেষত, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন এই ধরনের অভিযোগ আরও বেশি শোনা যাচ্ছে। 


আরও পড়ুন:মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড