অভিজিৎ চৌধুরী ও করুণাময় সিংহ, মালদা:  ১০০ দিনের প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা নয়ছয়, বেআইনিভাবে টেন্ডার পাস, মালদার (Malda) তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছেন দলেরই এক কর্মী। ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool) ফাটল প্রকাশ্য়ে। এনিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।


দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলে ফাটল মালদায়: ১০০ দিনের কাজে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতি। মালদায়, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন দলেরই এক কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই ঘটনায় প্রকাশ্য়ে চলে এসেছে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। ১০০ দিনের কাজের কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করেছেন তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের প্রধান শকুন্তলা সিংহ। এক এলাকার লোকের নামে, অন্য় এলাকা থেকে ১০০ দিনের কাজের মজুরির টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বেআইনিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার পাস করানো হয়েছে বলে অভিযোগ।                                                  

তৃণমূল কর্মীর দাবি, এই দুর্নীতিতে প্রধানকে সাহায্য় করছেন পঞ্চায়েতের একাধিক সরকারি কর্মী। এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অভিযোগকারী, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য় মানিক দাসের ভাই। অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মী মিঠুনচন্দ্র দাস বলেন, প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। প্রধানের মদতে হয়েছে এই দুর্নীতি। আমি অভিযোগ করেছিলাম তার ভিত্তিতে জেলা থেকে তদন্তকারী দল এসেছে। তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধান শকুন্তলা সিংহের। তিনি বলেন, “এখন তদন্ত চলছে তাই আমি কোন মন্তব্য করব না। যা বলার তদন্তের পর বলব।’’                                                  


ঘটনায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য়, “দুর্নীতি হয়েছে এটা স্পষ্ট। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিচ্ছে। কিন্তু সরকারি কর্মীরা দুর্নীতি করার সাহস পাবে না। তাদের মদত দেওয়া হচ্ছে বলেই তারা দুর্নীতি হচ্ছে। কাদের অঙ্গুলিলেহনে দুর্নীতি হচ্ছে সেটা বের করতে হবে।’’ মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court:কর্মবিরতিতে কার্যত স্তব্ধ হাইকোর্ট, প্রযুক্তির ব্যবহারে তাক লাগালেন বিচারপতি বসাক