কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির ইস্যুতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের। আর যতবারই শাসকদলের অন্দরে আলোড়ন হয়, ঠিক ততবারই এজেন্সি এড়াতে শুভেন্দুর বিজেপি যোগের প্রসঙ্গ টানেন শাসকদলের হেভিওয়েটরা। এমন অভিযোগ প্রায়শই শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষের মুখেও। স্ট্যান্ডআপের সুরেও তাঁকে কমবার কটাক্ষ করতে দেখা যায়নি। তবে কথাটা হচ্ছে, বছর পেরোলেই লোকসভা ভোট। তাই কার্যতই আর বিষয়টা হালকা ফিলকার খোঁচায় আটকে নেই।


বিশেষ করে জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর মেজাজ সপ্তমে শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের একাংশের। তাই এবার আর ধীরে সুস্থে নয়, একেবারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের যাবতীয় কারচুপি প্রকাশ্যে আনবেন বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে চুপ বসে নেই বিজেপিও। কুণাল ঘোষের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় ? পাল্টা প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।


সজল ঘোষ বলেছেন, 'আমার শুনে হেভি জোর হাসি পেয়েছে। ..একটা সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা আসামী, জামিনে আছে। এমন নয় যে, কেস থেকে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। নিরপরাধ ঘোষিত হয়েছে। সেই লোকটা বলছে সন্দেহজনক' ! সজলের সংযোজন,'বলছেটা কে ? ! সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা আসামী, যে রোজ বলত মমতাই হচ্ছে প্রধান আসামী রোজভ্যালির। যে রোজ চিৎকার করে কাঁদতেন,  গাড়ির সামনে শুয়ে পড়তেন, বিষ খেতেন, ঘুমের ওষুধ খেতেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সামনাসামনি ওকে বসাতে হবে। ওর বিশ্বাসযোগ্যতা কী আছে মানুষের কাছে ? তৃণমূল বলে, চোরেদের দল বলে আবার জায়গা পেয়েছে।'


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বলেন, 'কারও কারও ৬০, ৭০, ৮০টা নানা লোকে নানা বলে ট্রলার আছে। কত বেনামি বাড়ি আছে, কত পেট্রোল পাম্প আছে, কত কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বড় বড় কথা বলে কী করে? আমরাও কাগজপত্র বের করছি, এতদিন করিনি। আমরা কি দেখতে গেছি হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন আগে, মন্ত্রী থাকাকালীন, কোনটা, কোন জমিটা কত টাকায় বিক্রি করেছেন ? দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বানিয়ে দিলাম ভাল কাজ করার জন্য, কত জমি দিয়েছে? ৬০০ হোটেল তৈরি হয়েছে। আমরা একবারও জানতে গেছি? জানিনি।'


আরও পড়ুন, ভয়াবহ ভূমিকম্প নেপালে, 'সাহায্য করতে প্রস্তুত', শোকপ্রকাশ মোদির


পাল্টা জবাবে শুভেন্দু সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে বলেছিলেন, 'আপনার ভাইপো আপনার পরিবারে ইনকাম ট্যাক্সে কিছু দেখানো নেই। পেট্রোল পাম্প কটা সব বৈধ। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের পেট্রোল পাম্প। ইনকাম ট্যাক্স দেখে নেবেন। '২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হলফনামা দেখে নেবেন, আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া, আধিকারী পরিবার আপনার মতো ওই রকম কালীঘাটের নালার পাশে লোকের জায়গা জবরদখল করে বড়লোক হয়নি।'