কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) অনেক আগে থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর নিশানায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে শুরু করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (Central Agency ,BSF)। এদিন একদিকে যেমন 'একসপ্তাহের মধ্যে সিএএ (CAA) চালু হতে পারে', বলে দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। আর এমনই এক আবহে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিএসএফ ইস্যুতে টানলেন শীতলকুচির প্রসঙ্গ। আর তার সঙ্গে উঠে এল 'NRC' ইস্যু।


এদিন মমতা বলেন, 'ওঁরা বিএসএফ ও এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোট করতে চায়। বিএসএফ অত্যাচার করলে সরাসরি থানায় এফআইআর করবেন। বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় আলাদা পরিচয়পত্র দিতে চাইছে। নেবেন না, ওই কার্ড নিলে এনআরসি-র আওতায় পড়ে যাবেন। আপনাদের সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।  গতবছর মতুয়াদের নাগরিকত্বের প্রশ্নে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক।


অভিষেক বলেছিলেন,'ভাঁওতাবাজির প্রতীক হল পদ্মফুল। মতুয়াদের জন্য CAA করবে বলেছিল। চার বছর হতে চলল। ২০১৯ সালে পাস হয়েছিল CAA বিল। তার পর প্রায় ৪২ মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত বিধি-নিয়ম আনা যায়নি।'বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী বলে অভিযোগ তুলে  অভিষেক আরও বলেছিলেন,'অসমে NRC তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। এর মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি। এদের বাঙালি বিদ্বেষের প্রমাণ বার বার মিলেছে। কিন্তু যে সমস্ত মানুষ ভোট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, জেলা পরিষদ, বিধায়ক, সাংসদ এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের যদি অবৈধ নাগরিক বলা হয়, তাহলে ওই সমস্ত মানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও অবৈধ। তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।'


আরও পড়ুন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলা-সহ গোটা দেশে CAA কার্যকর হবে', দাবি শান্তনু ঠাকুরের


অপরদিকে, রাজ্যে কেন ডবল ইঞ্জিনের সরকার ক্ষমতায় আসতে পারেনি ? তার কারণ হিসেবে বড় যুক্তি খাড়া করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা নিয়ে তৃণমূলকেই দোষী ঠাওড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেসময় শুভেন্দুর ছিল, সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি এলে NRC হবে, রাজ্যছাড়া হতে হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছিল। তাতেই ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিজেপি।' এখানেই শেষ নয়, সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে আবেদন জানাতেও দেখা গিয়েছিল এর আগে শুভেন্দুকে। বীরভূমের  মুরারইয়ের মাটিতে গিয়ে তিনি বুঝিয়েছিলেন,' এই দেশের মাটিতে জন্মেছেন যাঁরা, এই মাটিকে নিজের ভাবেন যাঁরা, এখানেই যাঁদের সব, তাঁদের সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল না আমাদের, আজও নেই।'