কৃষ্ণনগর: গুজরাতের নাগরিকত্ব (Gujarat Citizenship Row) প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বাংলার রাজনীতিতেও। তা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। নির্বাচন এলেই বিজেপি-র (BJP) মাথায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চাপে বলে মন্তব্য করলেন তিনি (TMC)। মমতার কথায়, "বিজেপি কী এমন করল, যে মিথ্য়া কথা বলে লোকসভার সিট নিল! বিধানসভার সিট নিল! কাজ কিছু করেছে! একটাও করেছে! নির্বাচন এলেই তখন মনে পড়ে ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। নির্বাচন এলেই মাথায় ঢোকে এনআরসি। নির্বাচন এলেই মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করে। রাজবংশীদের নিয়ে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করে। পাহাড়িদের নিয়ে বাংলা ভাগের চেষ্টা করে, তারা কিন্তু চায় না। সবাই এক নয়। "
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপি-কে আক্রমণ মমতার
মমতা আরও বলেন, "আমি পরিষ্কার বলছি আপনাদের। নদিয়ায় রানাঘাটের সাংসদ কিছু করেছেন আপনাদের জন্য! তাহলে ভোট দিলেন কেন? বিধায়করা কিছু করেছেন! তাহলে ভোটটা দিলেন কেন? নদিয়ার মানুষ ভাল, শান্তিপূর্ণ মানুষ। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুরের ধর্মপ্রাণ, উদ্বাস্তু মানুষরা শান্তিপ্রিয়। তাঁদের বিভ্রান্ত করছে। এখন গুজরাতে নির্বাচন। বলছে বাংলাতেও ক্যা করবে। ক্যা মানে কী! নাগরিকত্ব। মতুয়া ভাইবোনেরা বুকে হাত দিয়ে বলুন, চাকরি করেন! দোকান আছে! ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, স্বাস্থ্যসাথী পান! সবই যদি থাকে, তার মানে আপনার অধিকার! সম্পত্তি, শিক্ষার অধিকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মা-বোনেদের অধিকার। সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার দিয়েছে। নাগরিক না হলে কী করে পেতেন!"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: শীত পড়লে ডেঙ্গি কমে যাবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতার কথায়, "বিজেপি কিছু লোককে এদিক ওদিক থেকে ডেকে আনতে চায়। তারা বাংলার লোকই নেই। তাদের বাংলায় অনুপ্রবেশ করানোর জন্য, তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে, আপনাদের অধিকার ছোট করবে। মতুয়া, রাজবংশী, উদ্বাস্তু, তফসিলি, আদিবাসী, সংখ্যালঘুরা এখানকার নাগরিক। আমরা সবাই নাগরিক। আপনারা নাগরিক না হলে আমিও নাগরিক নই।"
বাংলা ভাগের চেষ্টা বিজেপি-র, দাবি মমতার
মমতা আরও বলেন, "আপনারা ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচন করেন, বিধায়ক নির্বাচন করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন করেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন করেন, পৌরসভা নির্বাচন করেন। আপনাদের ভোটেই জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আপনারা নাগরিক না হলে তাহলে উনি প্রধানমন্ত্রী হলেন কী করে! আপনাদের ভোটাধিকার না থাকলে আমিই বা জিতলাম কী করে! এখনও বলছি মতুয়া ভাইবোনেদের। আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক থাকবেন। কাউকে কিছু করতে দেব না আমি। কেউ কেড়ে নিতে পারবে না আপনাদের নাগরিকত্ব। আমি জীবন দিতে তৈরি। নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না। বাংলাদেশ থেকে কত মানুষ এসেছেন। কষ্ট করে সংসার চালিয়েছেন। আজ সকলকে শর্ত জমি দেব। আমি বলে দিয়েছি। রেল অনেক জায়গা থেকে উচ্ছেদ করছি। করতে দেবেন না। রুখে দেবেন।"