কলকাতা: 'পুরসভায় ঢুকে গিয়েছে সিবিআই, এবার কী শৌচাগারেও ঢুকবে?' পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই অভিযান নিয়ে আক্রমণে মমতা। কলকাতা থেকে জেলা, সকাল থেকে শুরু সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি। আর সেই ইস্যুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। 


পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একযোগে ২০টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি শুরু হয়েছে। নিউ ব্যারাকপুর, পানিহাটি, টিটাগড়, কাঁচরাপাড়া পুরসভায় থেকে কামারহাটি, হালিশহর, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, দমদম পুরসভায় সিবিআই তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি টাকি, বরানগর, বাদুরিয়া, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম পুরসভাতেও তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। সল্টলেকে নগরায়ন ভবন, পুর প্রশাসন ভবনে এবং ধৃত অয়ন শীলের চুঁচুড়ার বাড়ি-অফিসে সিবিআই তল্লাশি চলছে। এদিন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, "সকাল থেকে ১৪টা -১৬টা পুরসভায় ঢুকে গিয়েছে। এবার কি বাথরুমেও ঢুকবে? জিজ্ঞেস করুন, ওয়াশরুমেও ঢুকবে এখন? ওইটুকুই বাকি আছে। এসব করে এত বড় দুর্ঘটনা ধামা চাপা দেওয়া যায় না।''  


নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, শহর থেকে শহরতলিতে একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে CBI।কোথাও আলমারিতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালানো হল। কোথাও, আবার পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেন গোয়েন্দারা।যেমন, ছাই চাপা আগুনের মতো, স্কুলে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে, অয়ন শীলের অফিস থেকে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করার পর, অয়ন শীলের অফিসকে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলেও উল্লেখ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে হানা দেওয়ার পরে, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, বিভিন্ন পুরসভা থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল।


পরবর্তীতে এই তদন্ত যত এগিয়েছে, তাতে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, রীতিমতো ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা রেটে বিভিন্ন পুরসভায় দেদার চাকরি বিক্রি হয়েছে।ইডি সূত্রের দাবি করা হয়, পুরসভায় শ্রমিকের চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। গাড়ির চালকের চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। সাফাইকর্মীর চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। পুরসভার গ্রুপ ডি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৪ লক্ষ টাকা। পুরসভার গ্রুপ সি-র চাকরির দাম ন্যূনতম ৭ লক্ষ টাকা। পুরসভার টাইপিস্টের চাকরির রেট শুরু ৭ লক্ষ টাকা থেকে।সূত্রের দাবি, ইডির জেরায় অয়ন দাবি করেন, তিনি ২০ থেকে ২৫% কমিশন পেয়েছেন। বাকি ৭৫-৮০% টাকা চলে যেত নির্দিষ্ট পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছে।


আরও পড়ুন: Viral Video: মিটিংয়ে ধমক, হেনস্থা, অভব্য আচরণ! ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড