সাগরদিঘি, মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেফতারি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। মুখ খুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সভা থেকে ফের তা নিয়ে সরব হলেন মমতা। দিল্লি ও গুজরাত পুলিশের ভূমিকা নিয়েও মুখ খোলেন।


কী বললেন মমতা: 
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বঙ্গভবনের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ নিয়ে গেছে দিল্লি আর গুজরাত পুলিশ (Gujarat Police)। বঙ্গভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের (TMC) এক সমাজকর্মীকে।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'নতুন বঙ্গভবনে থাকেন রাজ্যপাল, প্রধান বিচারপতি। তাঁরা কার সঙ্গে কথা বলেন, সেই তথ্য কেন নিয়ে যাবে?' বিনা অনুমতিতে কেউ গেলে আইনত পদক্ষেপ নিতে হবে।' মুখ্যসচিবকে নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


তিনি আরও বলেন, 'গণতন্ত্রে বুলডোজ করার চেষ্টা হচ্ছে। বুলডোজারের পরিবর্তে ক্লোজার হবে।'


মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফরের খরচ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করায়, দিনকয়েক আগে সাইবার আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। সেই মামলায় জামিন পেতেই, তাঁকে ফের গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত গুজরাতের পুলিশ। সাইবার আইনের পর এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে। চারদিনে দুবার গ্রেফতার, দুবারই জামিন পান তিনি। এই ঘটনার পর গুজরাতের মোরবিতে পৌঁছয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, শান্তনু সেন, খলিলুর রহমান, অসিত মাল ও সুনীল মণ্ডল। গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙা হয়েছে, এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল। 


সরব হয়েছিলেন অভিষেক:
অভিষেক (Abhishek Banerjee) লেখেন, 'মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দু'বার সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। তাও আবার আদর্শ আচরণবিধি থাকার মধ্যেই। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। বিজেপির আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নড়বড়ে অবস্থায় গণতন্ত্র।'


সরব হয়েছিলেন মমতাও:
মেঘালয়ে শিলংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মঞ্চে ডেকে আনেন সাকেতকে (Saket Gokhale)। গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছিলেন, 'নেতা হলে ধৈর্য্য থাকতে হয়, সহ্য করতে হয়।'

পাল্টা তোপ দেগেছিল বিজেপিও:
পাল্টা ট্যুইটে আক্রমণ শানান বিজেপির মিডিয়া সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী। তিনি ভাবছেন, আক্রান্ত হওয়ার অভিনয় করলে, অপরাধ ধুয়ে যাবে। সেটা হবে না। তিনি যা পোস্ট করেছেন, সেটা শুধু ভুল নয়, বিদ্বেষপূর্ণ। উদ্দেশ্য ছিল আবেগপ্রবণ বিষয়কে কাজে লাগিয়ে, অশান্তি তৈরি করা। এটা ক্ষমার অযোগ্য। আইন আইনের পথে চলবে।


আরও পড়ুন: কোন জীবনটা গ্রহণ করবেন? বঙ্গবাসীকে বার্তা দিলেন মমতা