কলকাতা: মধুমেহ (Diabetes) রোগীদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। লাইফস্টাইলের পাশাপাশি নজর দিতে হয় খাবারের তালিকাতেও। রক্তে যাতে কোনওভাবেই শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে নজর রাখাই মূল লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞরা জানান, মধুমেহ এমন একটা অসুখ যা চিরস্থায়ী। একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। তবে, চিকিতসকদের পরামর্শ মেনে চললে, লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে নজর দিলে নিয়ন্ত্রণে থাকে মধুমেহ। 


মুমেহ রোগীরা অনেক খাবারই খেতে পারেন না রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায়। এর মধ্যে অন্যতম হল আলু এবং ভাত। দুটি খাবারেই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু সহজ উপায় মানলেই ভাত (Rice) এবং আলু (Potato) খেতে পারবেন মধুমেহ রোগীরাও। জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলি কী কী-


কোন উপায়ে আলু এবং ভাত খেতে পারবেন মধুমেহ রোগীরা?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেহেতু আলু এবং ভাতে থাকা উপাদান রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই তা রান্না করে খেতে হবে অন্য উপায়ে। তাঁদের মতে, এই দুই খাবার রান্না করার পর ফ্রিজে রেখে দিন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। তারপর সেই খাবার খান। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।


১. এভাবে আলু এবং ভাত থেকে তা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। 
২. লিভারকে আরও সক্রিয় করে তোলে।
৩. পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।
৪. শরীরে নিজে থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার সহজ এবং ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নিন


সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাঁরা নাইট শিফটে কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে বাড়ছে মধুমেহ রোগের মাত্রা। গবেষকরা তাঁদের সমীক্ষায় প্রকাশ করেছেন যে, অত্যধিক রাতে খাবার খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ে। যা মধুমেহ রোগের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাঁরা যখন সূর্যের আলো থাকাকালীন খাবার খাচ্ছেন, শুধুমাত্র তখনই তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকছে। অন্যদিকে নাইট শিফট করার কারণে রাতে খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ৬.৪ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে যেকোনও রোগের বৃদ্ধির কারণ আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসের উপর অনেকটা নির্ভর করে। সুস্থ শরীর পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলও জরুরি। কিন্তু অনেক সময়ই কাজের চাপে পরিস্থিতির কারণে এমন কিছু করতে হয় মানুষকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।