গঙ্গাসাগর : প্রায় তিন-তিনটে বছর ধরে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছিল করোনা। HMP ভাইরাসের সংক্রমণ দেখে অনেকেই প্রশ্ন করছে, এই ভাইরাসও কি করোনার মতোই মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে ? দিনে দিনে HMP ভাইরাসের সংক্রমণ কি মারাত্মক চেহারা নেবে ? না কি উদ্বেগের কোনও কারণই নেই ? এই আবহে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, 'কিছু প্রাইভেট চক্র আছে। যারা টাকা কামানোর জন্য একটু জ্বর হলেই ভয় দেখিয়ে দিচ্ছে।'


সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, "কিছু চিন্তা করো না। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। যখন চিন্তা করার কারণ হবে আমরা বলে দেব। মুখ্যসচিব আজই বৈঠক করেছেন। গতকাল সন্ধেয় মিটিং নিয়েছেন, আজও মিটিং নিয়েছেন। আমরা এখনও পর্যন্ত যেটা জেনেছি, এটা মারাত্মক কিছু নয়। সুতরাং এটি নিয়ে ভয় পাওয়ার বা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও কারণ নেই। আমরা পরিষ্কার বলি, কিছু প্রাইভেট চক্র আছে। যারা টাকা কামানোর জন্য একটু জ্বর হলেই ভয় দেখিয়ে দিচ্ছে। ন্যাচরাল এটাকে আনন্যাচরাল করে দিচ্ছে। আমি স্বাস্থ্যসাথি করেছি জনগণের সারাবছর তাঁর পরিবারের খরচ করার জন্য। একটা জ্বরে ২ লাখ-ত লাখ টাকা নিয়ে নেবে। যার প্রয়োজন নেই। সেটা তো ঠিক নয়।"


চার বছর আগে, ঠিক এই জানুয়ারি মাসেই, সামনে এসেছিল ভারতে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর। তখনও কেউ জানত না, সামনে কী দিন আসতে চলেছে। ছিল শুধু চাপা আশঙ্কা। বিশেষ করে বিদেশ-ফেরতদের নিয়ে। এখন HMP ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতেই সোশাল মিডিয়ায় অনেক ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে। কেউ দাবি করছেন চিনের ছবি। পরিস্থিতি সেখানে ভয়ঙ্কর!
আরেকটি ভাইরাল ভিডিওতে আবার দাবি করা হয়েছে, গত ৬২ ঘণ্টায় চিনে ৭১ হাজার ৫৬৬টি অ্য়াকটিভ কেস সামনে এসেছে...। এই ভিডিওতেই দাবি করা হয়েছে HMPV-তে মৃত্য়ুর হার ৪৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জন আক্রান্ত হলে ৪৩ জনের মৃত্য়ু হবে। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিওগুলি কি আদৌ চিনের ? যে তথ্য় দেওয়া হচ্ছে, তা কি আদৌ সত্য়ি ? না কি ভয় ছড়ানোর কৌশল? আসল খবর কি চিন চেপে দিচ্ছে, না সত্য়িটা সামনে আসছে? যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর আশ্বস্ত করে বলছে, ভয়ের কোনও কারণ নেই।