আশাবুল হোসেন ও সমীরণ পাল, হিঙ্গলগঞ্জ : কথা ছিল শীতবস্ত্র দেওয়ার। নিজে কিনে পাঠিয়েছিলেন ৫ হাজার কম্বল, ৫ হাজার চাদর ও ৫ হাজার সোয়েটার। কিন্তু সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানস্থলে এসে হাজির হয়নি সেটা। মঞ্চ থেকে শীতবস্ত্র প্রদানের কথা জানিয়ে সেগুলো না পেয়ে মঞ্চ থেকেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)


বিডিও অফিসে শীতবস্ত্র আছে জেনে দ্রুত সেটা নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন। সভামঞ্চে থেকে বক্তব্য থামিয়েই করলেও বিডিও-কে তলব। পাশাপাশি উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে তিনি বললেন, 'আমি আসব বলে শীতবস্ত্র কিনেছি, এসে দেখছি ভোঁ ভাঁ। যতক্ষণ না শীতবস্ত্র আসছে, আপনারাও বসুন আমিও বসলাম'। যে কথা বলেই বক্তব্য থামিয়ে মঞ্চেই চুপ করে বসে অপেক্ষা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট পনেরো অপেক্ষার পর শীতবস্ত্র এসে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রী তা শুরু করার পর ফের শুরু হয় অনুষ্ঠান।


মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ সামলাতে সরকারি আধিকারিকরা প্রবল চেষ্টা চালালেও কোনও কাজ হয়নি। সভামঞ্চে বেশ কিছুক্ষণ ঠায় চুপ করে বসে থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্য রাখার সময়ই ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এসেছিলাম তো শীতবস্ত্র দিতে। মানুষের জন্য জিনিসপত্র তাঁদের কাছে ঠিকমতো না পৌঁছলে খুব গায়ে জ্বালা ধরে। '


সভামঞ্চ থেকেই সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুলিশ কোনও ভুল করলে দোষ হয় আমাদের। আর সরকার কোনও ভুল করলে গালাগালি খাই আমি।' ‘তোমার কাছ থেকে আশা এটা করিনি’ জেলাশাসককে মঞ্চ থেকেই ভর্ত্‍‍সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যদি বিডিওরা কাজ না করে, আমাকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে’।


এদিকে, ‘যাঁরা বিধবা ভাতা পান, তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারও পাবেন’ বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বনদেবীর মন্দির পাকা করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এলাকায় বাস পরিষেবা বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সামশেরনগরে বনবিবির মন্দিরে পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানেই মঞ্চে শীতবস্ত্র প্রদানের অনুষ্ঠানের মাঝে এই ঘটনাক্রম। বিভিন্ন এলাকায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা যাতে বাড়ে সেই নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। 



আরও পড়ুন- সৌজন্য-সাক্ষাৎ নিয়ে সেটিং কটাক্ষ সিপিএম-কংগ্রেসের, কী জবাব শুভেন্দুর ?