আশাবুল হোসেন, কলকাতা: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম পাহাড় সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ দুপুরে কলকাতা থেকে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে বাগডোগরা (Bagdogra) পৌঁছে শিলিগুড়িতে (Siliguri) সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর চলে যাবেন দার্জিলিং (Darjeeling)। বুধবার পর্যন্ত সেখানে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। 


পাহাড়ে মমতা


এছাড়া, পঞ্চায়েত ও জিটিএ নির্বাচন নিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচদিনের সফর শেষে ১ এপ্রিল কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ে থাকাকালীনই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বড় কোনও ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ কয়েকদিন আগেই মমতা জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার জিটিএ নির্বাচন করাবে৷ তৃণমূলও সেই নির্বাচনে লড়বে৷ সফরে হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে পাহাড় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।                                     


আরও পড়ুন, 'জ্বালানির দাম নিয়ে আলোচনা থেকে পালাচ্ছেন কেন?' প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ডেরেকের


মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কালিম্পং বিধায়কের 


এদিকে, উন্নয়ন হচ্ছে না কালিম্পং জেলায়। এই অভিযোগে, কালিম্পংকে জিটিএ-র আওতা থেকে বের করে আনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সেখানকার বিধায়ক রুদেন লেপচা। তাঁর দাবি, কালিম্পংয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কার্যকর করা হোক। তবেই জেলার উন্নয়ন সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ গঠনের উদাহরণও দিয়েছেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক।


আলাদাভাবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন রুদেন লেপচা। তাঁর দাবি, এর ফলে কালিম্পং জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। জিটিএর মধ্যে থেকে তা করা যাচ্ছে না। ১৯৮৮ সালে DGHC গঠনের পরে আলাদা ভাবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ গঠন করা হয়।