নয়া দিল্লি: পেট্রোল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel) মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিশানা ডেরেক ও’ ব্রায়েনের (Derek O'Brien )। তৃণমূল (TMC) সাংসদ ট্যুইট করেছেন, রবিবার সকালে আবার! ভোটের ফল ঘোষণার মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে ৬ দিনে পাঁচবার জ্বালানির দামবৃদ্ধি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা সংসদে সব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনার কথা বলেন। আপনারা চার রাজ্যে জিতেছেন। তাহলে ভয় পেয়ে পালাচ্ছেন কেন? আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হোক। ট্যুইটে লেখেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন।             


কলকাতায় জ্বালানির দাম কত? 



প্রসঙ্গত, ৬ দিনে ৫ বার দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের। কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ৫২ পয়সা বেড়ে হল ১০৮ টাকা ৫৩ পয়সা। ডিজেলের দাম ৫৬ পয়সা বেড়ে হল ৯৩ টাকা ৫৭ পয়সা। সব মিলিয়ে ৬ দিনে প্রায় ৪ টাকা দাম বাড়ল জ্বালানির। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটপর্ব মেটার পর থেকেই, সাধারণ মানুষের ওপর লাগাতার বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধির চাপ।      


জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা 


পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে (narendra modi goverment) নিশানা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, রাজা মহল তৈরিতে ব্যস্ত, আর প্রজা মূল্যবৃদ্ধির মার খাচ্ছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, শনিবার চুঁচুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। কাঠের উনুন জ্বালিয়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়।


এর আগে গত রবিবার শিল্পের জন্য ডিজেলের দামও একধাক্কায় প্রতি লিটারে ২৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী, রেল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী, পরিবহণ, তাপবিদ্যুৎ, সিমেন্ট, রাসায়নিক এবং অন্য শিল্প সংস্থার বেশি জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়াও বিমানবন্দর, শপিং মল এবং অন্য শিল্প ক্ষেত্রেও জ্বালানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তাই একসঙ্গে বেশি পরিমাণ পেট্রল বা ডিজেল কিনতে হয় তাদের। তাদেরই লিটারে ২৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ডিজেল।