কলকাতা :  এসএসকেএমে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করার পরই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য ভবনের। 



‘৫ জন চিকিৎসককে বিভিন্ন জেলা থেকে বদলি করে আনা হচ্ছে। ৫ জন চিকিৎসক শুধুমাত্র ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দায়িত্বেই থাকবেন’ নির্দেশিকা জারি করে জানাল স্বাস্থ্য ভবন। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে 'রেফার রোগ’ নিয়ে সতর্কবার্তা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। জোর দেন সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবায়। ট্রমা কেয়ারের ব্যবস্থায় তিনি যে আদপেই খুশি নন, সেটা নিয়েও রাখঢাক করেননি মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'ধরুন কোনও প্রসূতি এলেন। যদি তাঁর জন্য পরিষেবার ব্যবস্থা করতে ৬ ঘণ্টা সময় লেগে যায়, তা হলে তো উনি মারা যাবেন। এগুলি তো আপৎকালীন কেস।' পরিষেবা দেওয়ার জন্য যদি আরও লোকবল প্রয়োজন হয়, তা হলে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দেন মমতা। এরপরই এই সিদ্ধান্ত। 




ট্রমা সেন্টারের (trauma centre) পরিষেবা (service) নিয়ে অসন্তুষ্ট (dissatisfied) মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  (mamata banerjee) বলেন, ‘স্যালাইন দিতে গিয়ে হাত ফুলিয়ে দিয়েছে। এসএসকেএম নিয়ে আমরা গর্ব করি এখানে অনেক নার্স, আশাকর্মী নেওয়া হয়েছে। রেফার করে দিয়ে দায় ঝাড়লে হবে না।’ সঙ্গে বললেন, 'রাতে হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তাররা থাকুন’। বৃহস্পতিবার বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও চার তলা স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এসএসকেএম এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই এই বার্তা তাঁর।



প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, SSKM’এ ট্রমা কেয়ার সেন্টারে উত্তেজনা তৈরি হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগীমৃত্যুতে, চিকিৎসদের মারধরের অভিযোগ ওঠে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হন ৪জন চিকিৎসক। ব্যান্ডেল থেকে আসা মহম্মদ আরমান নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জেরেই মৃত্যু হয় মহম্মদ আরমানের। ট্রমা কেয়ারে ভাঙচুর, এক্সরে মেশিনের উপর রোগীর আত্মীয়রা হামলা চালান বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ।