কলকাতা: সারা দেশে ইতিমধ্যেই কোভিড ইস্যু নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হটস্পট এলাকাগুলি বেছে নেওয়ার প্রসঙ্গও তুলছিলেন তিনি।এদিকে কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট XBB1.16.1-এর সংক্রমণ দেখা গিয়েছে ভারতে। এমনই এক পরিস্থিতিতে এদিন নবান্নের বৈঠকে কোভিড সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


এদিন মমতা বলেন,  ' ৫০ হাজার পঞ্চায়েতের কর্মীদের হেলথ্ স্কিমে আনা হল। কোভিডে এরাজ্যে দিনে এখন ১৫০ জন আক্রান্তের খবর আসছে। এই মুহূর্তে  ৯জন রোগীর অক্সিজেন দরকার হচ্ছে। সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে।' মূলত, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও কেউ ভুলতে পারেনি। কারণ দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি ফুসফুসে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। যার জন্য় দেখা দিয়েছিল অক্সিজেনের আকাল দেশজুড়ে। যদিও সেসময় মুখ্যমন্ত্রীরাজ্যে অক্সিজেনের ভান্ডার নিয়ে আগাম সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই এবার মাত্রা ছাড়ানোর আগেই কোভিড সতর্কতা জারি মুখ্যমন্ত্রীর। 


অপরদিকে, বুধবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৫৪২ জন। তার আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬৩৩। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় কার্যত লাফ দিয়েছে নতুন কোভিড সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য় বলছে এখন দেশে অ্যাক্টিভ কোভিড কেস ৬৩,৫৬২। গত ৫ দিনে ধীরে ধীরে করে সংক্রমণের গ্রাফ কমছিল। ১৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোটের উপর নিম্নগামী ছিল এই গ্রাফ। তারপরে আবার লাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও চিন্তা বাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমিত হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই কেরল থেকে। 


আরও পড়ুন, সজ্ঞানেই দিল্লি গিয়েছেন, দাবি মুকুলের, বললেন, ‘CPM-কে হটানোই লক্ষ্য’


সম্প্রতি কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে একাধিক বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। জরুরি হটস্পটগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একটি সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কোভিড টেস্ট, ট্র্যাকিং রাখার পাশাপাশি ভ্য়াকসিনেশন এবং কোভিড ইস্যুতে যাবতীয় নীতি বজায় কথা বলেছিলেন তিনি। রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার জন্য এবং কোভিড ১৯ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে জরুরী হটস্পট চিহ্নিতকরণ তো বটেই, পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষা এবং টিকাকরণ দেওয়ার জন্য হাসপাতালের পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নিয়েও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।