কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ি চত্বরে ঢুকে প্রায় সাত ঘণ্টা লুকিয়ে রইল এক সন্দেহভাজন। ভোরের আলো ফোটার পর এক সাফাইকর্মী তাঁকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। কিন্তু কে এই ব্যক্তি? কী বা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন।


কে এই হাফিজুল মোল্লা? স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় ৭ ঘণ্টা লুকিয়ে রইল এক ব্যক্তি। রাত ১টা ২০ থেকে সকাল সাড়ে আটটা। অথচ কেউ টের পর্যন্ত পেল না। অবশেষে সকালে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হাফিজুল মোল্লা (Hafizul Mollah)। হাসনাবাদের নারায়ণপুরের বাসিন্দা। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে নবান্নেও বিনা অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল অভিযুক্ত। সেই সময়ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


পুলিশ সূত্রে খবর, কালীঘাটের পটুয়াপাড়া হয়ে, সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায় অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকায় ঘোরাঘুরি করার পর। এক সময়, মুখ্যমন্ত্রীর দাদার ঘরের পাশ দিয়ে গার্ডরেল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে সন্দেহভাজন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির পিছনে লুকিয়ে ছিল অভিযুক্ত।  সকালে এক সাফাই কর্মী তাকে দেখতে পান। তিনিই পুলিশে খবর দেন। পুলিশকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। কিন্তু, তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পরে, তুলে দেওয়া হয় কালীঘাট থানার পুলিশের হাতে। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় লালবাজার। এদিন, অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী বলেন, ধৃত হাফিজুল মোল্লা হাসনাবাদের নারায়ণপুরের বাসিন্দা। শনিবার, রাত একটা নাগাদ অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাট তাঁকে দেখতে পাওয়ার পর আটক করে পুলিশ। কেন ঢুকল? কী উদ্দেশ্য ছিল? সেই বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। এরপরই ধৃতকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের