কলকাতা: তাঁর পরিচালনায় কাজ করা হয়নি কখনও, কিন্তু তিনি ছিলেন তাঁর শিক্ষক ও গুরু। কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) -এর প্রয়াণে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraorty)-র মুখে শোনা গেল, বাংলা ছবির জগতে আরেক নক্ষত্রপতনের কথা। 


এবিপি আনন্দকে চিরঞ্জিৎ বলছেন, 'নক্ষত্রপতন ঘটল আবার। আবার আমরা নিঃস্ব হলাম। মানুষটাকে এত বছর ধরে, আমার সারা জীবন ধরে অনুসরণ করেছি, ওনার থেকে নিষ্ঠা শিখেছি। উনি ছিলেন আমাদের শিক্ষক আমাদের গুরু। ওঁর পরিচালনায় আমার কাজ করা হয়ে ওঠেনি কখনও কিন্তু আমি ওঁর ছবির বিশাল বড় ভক্ত ছিলাম। উনি এত ধরণের ছবি করেছেন, শুধু সেগুলো দিয়েই একটা গোটা চলচ্চিত্র উৎসব করা যায়। আমরা করব। আবার ওঁর ছবি দেখব, সমৃদ্ধ হব।'


আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Demise: 'তরুণদার "বালিকা বধূ" আমি নিজে ১৮ বার দেখেছি', পরিচালককে স্মরণ মিঠুন চক্রবর্তীর


কেবল চিরঞ্জিৎ নন, কিংবদন্তি পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগতও। এবিপি আনন্দকে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Jeet Ganguly) বলছেন, 'তরুণ মজুমদারের ছবিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রয়োগ ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাছে ওনার চলে যাওয়াাটা খুব বড় একটা ক্ষতি। ছবির পরিস্থিতি আর রবীন্দ্রসঙ্গীতের যে মেলবন্ধন উনি ছবিতে দেখিয়েছেন, আমার মনে হয় না বাংলা চলচ্চিত্রে এমন কাজ আর কেউ করেছেন। আমি তখন স্কুলে। দাদার কীর্তি, ভালোবাসা, ভালোবাসার গান শুনে আমি বড় হয়েছি। একবারই ওনার সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি। তখন আমি গীটার বাজাতাম। ওনার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলাম মনে আছে। আমরা কমার্শিয়াল ছবির কথা বলি। কিন্তু তরুণ মজুমদার দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, ছবি সবার জন্য বানাতে হয়। ওনাকে প্রণাম জানাই। ওঁর আত্মা শান্তি পাক।'


তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পী মহলে। শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, 'তিনি আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র রাজা ছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে তরুণ দার মতো পরিচালকের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। আমার সেই সৌভাগ্যটা হয়নি। আমার এখনও মনে আছে 'বালিকা বধূ' আমি নিজে ১৮বার দেখেছি। আমাদের জন্য বিরাট বড় ক্ষতি। তবে তিনি যা দিয়ে গেছেন, তা নিয়ে আমরা অনেকদিন বেঁচে থাকব। তরুণ দা, তরুণ দাই, তাঁর কোনও পরিবর্ত নেই।'