কলকাতা: সোমবার, ধনধান্য় সভাগৃহে চিকিৎসকদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তার আগে মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্দেশ্য়ে খোলা চিঠি দিল জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টর্স। যেখানে, স্বাস্থ্য় ব্য়বস্থায় পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতি, কর্মস্থলে নৈরাজ্য়, ও হুমকি সংসকৃতি-সহ একাধিক অভিযোগে ফের আলোকপাত করা হয়েছে।
শুধুমাত্র তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাই নয়, ২০২৪-এর ৯ই অগাস্টের পরই, সামনে চলে আসে স্বাস্থ্য় ব্য়বস্থায় পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। কর্মস্থলে নৈরাজ্য় ও হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগ, তা নিয়ে একাধিকবার তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন, জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। পথে নেমেছেন চিকিৎসকরা। এই আবহে, সোমবার, ধনধান্য় সভাগৃহে চিকিৎসকদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
তার আগে, শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন, জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্সরা। মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্দেশ্য়ে খোলা চিঠি দিয়েছে তারা। যেখানে, সরকারি স্বাস্থ্য় পরিষেবায় বহু ওষুধ, চিকিৎসার যন্ত্রপাতির সঠিক গুণমান যাচাই সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একাধিক কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য় দফতর। সেই কমিটিগুলো অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্টও দিয়েছে। কিন্তু রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ চিকিৎসক সংগঠনের। উপরন্তু, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, কিংবা হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বাঁচানোর উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জয়েন্ট প্ল্য়াটফর্ম অফ ডক্টর্সের সদস্য উৎপল বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, "রাজ্য় সরকার গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু তারপর দেখা গেছে রাজ্য় সরকারই ব্য়বস্থা নেয়নি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ সহ বিভিন্নদের বিরুদ্ধে কোনও ব্য়বস্থাই নেওয়া হয়নি।''
এদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্য়রত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর, ৭ মাস পেরতে চলল।এখনও মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটটুকু পাননি মা-বাবা। পরিবারের দাবি, আর জি কর হাসপাতালে গেলে, সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে বরো অফিসে। আবার বরো অফিসে গেলে, বলা হয়েছে, যেহেতু আর জি কর হাসপাতালে ঘটনা ঘটেছে, তাই তারাই দেবে মৃত্য়ুর শংসাপত্র। নিহত তরুণীর পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ক্রিমেশন সার্টিফিকেট রয়েছে। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, তরুণীর মৃত্য়ু হয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে।