শিলিগুড়ি: বনধ নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিনই বৃহস্পতিবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে হামরো পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, 'আজ থেকে বাইরে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। কেউ রাস্তায় বসে পড়ল, আর পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারল না, তার দায় কে নেবে? বাংলায় বন্ধের সংস্কৃতি উঠে গিয়েছে। পরিষ্কার করে বলছি, কোনও বন্ধ হবে না। আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু কোনও বন্ধ চলবে না। ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা আছে, কেউ বন্ধ করলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে। পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, আমরা বঙ্গ ভঙ্গ করতে দেব না। বঙ্গ একটাই থাকবে, কোনও ভঙ্গ হবে না। যারা বঙ্গভঙ্গের চেষ্টা করবে, তাদের মোহভঙ্গ হবে। অশান্তি করতে দেব না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিলিগুড়ির সভা থেকে বন্ধ নিয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে হামরো পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিধানসভায় বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের প্রতিবাদে পাহাড়ে বন্ধের ডাক। বৃহস্পতিবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক হামরো পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। আজ থেকে ভানু ভবনে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনই পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। যদিও, পরীক্ষার্থীদের বন্ধের আওতার বাইরে রাখার কথা ঘোষণা আন্দোলনকারীদের। বন্ধ চলাকালীন কোথাও কোনও পিকেটিং করা হবে না, জানালেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন, 'সরকারি কর্মীরাও ভাল বন্ধু, ওঁরা ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব', ডিএ কাণ্ডের মাঝেই বার্তা মমতার
বাংলা ভাগের দাবি নিয়ে বিধানসভাতেই বিজেপির দুই সুর। সোমবার বাংলা ভাগের বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনে রাজ্য় সরকার। তা নিয়ে আলোচনায়, বিরোধী দলনেতা বলেন, কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দল, বাংলা ভাগের দাবি তোলেনি। কিন্তু, তাঁর দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা আবার এনিয়ে গণভোটের দাবি তোলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্য়মিক পরীক্ষা (Madhyamik 2023)। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Secondary Education) তরফে জানানো হয়েছে, "এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। আরও ৩৫০ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড নিয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ হবে ফল। ৪০ হাজার ৫০০ পরীক্ষক। এর মধ্যে প্রধান পরীক্ষক ১১৫৩ জন। পরীক্ষা চালানোর জন্য ৩৫ হাজার ইনভিজিলেটর রয়ছেন। ১২২৬টি সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।''