কলকাতা: উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) সমস্যা প্রায় প্রতি বাড়িতেই দেখা যায়। এই সমস্যাকে হাইপারটেনশনও (Hypertension) বলা হয়। রক্তচাপ যখন নির্দিষ্ট মাপের থেকে বেশি হয়ে যায়, তখনই তা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, কিডনি ফেলিওরের সমস্যা এবং আরও নানা জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে ফেলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়িতে বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললেই কমিয়ে ফেলা যায় হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। জেনে নিন সেগুলি কী কী-


যে পদ্ধতিগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ-


১. রক্তচাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা বোঝার জন্য নিয়মিত তা পরীক্ষা করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করালে তবে দ্রুত তা ধরা পড়া সম্ভব। আর তাতেই দ্রুত চিকিতসা শুরু করা সম্ভব।


২. শরীরের ওজন সঠিক রয়েছে কিনা তা দেখাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, যদি ওবেসিটি দেখা দেয়, তাহলে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। আর তাতে সমস্যা হতে পারে হৃদপিণ্ডে। হার্টি অ্যাটাক, স্ট্রোক প্রভৃতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ওবেসিটি। তাই নিয়মিত চিকিতসকের কাছে গিয়ে শরীরের ওজন পরীক্ষা করান।


৩. খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে নুন খাওয়া একেবারেই চলবে না। অত্যধিক মাত্রায় নুন খেতে রক্তচাপে তা প্রভাব ফেলে। রান্না করা খাবার, ফল কিংবা সব্জিতে কাঁচা নুন একেবারেই খাওয়া চলবে না। রান্নাতেও ব্যবহার করতে হবে খুব অল্প পরিমাণে নুন।


আরও পড়ুন - Health Tips: নিমেষে ক্লান্তি দূর করে এই খাবারগুলি


৪. শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুবই প্রয়োজনীয়। সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। তবেই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তার সঙ্গে অনেক রোগও দূরে থাকবে।


৫. কাজের চাপে আজকের দিনে স্ট্রেসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্ট্রেসই বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। স্ট্রেস কমাতে নিয়মিত যোগাসন, প্রাণায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৬. রক্তচাপ অনেকেরই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কখনও বাড়ে কখনও কমে যায়। তাই যদি চিকিতসকের দেওয়া কোনও ওষুধ খেয়ে থাকেন, তাহলে তা একেবারেই অনিয়মিত করলে চলবে না। বরং, নিয়ম মেনে খেলেই সুস্থ থাকবেন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।