কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী উদ্‍যাপন অনুষ্ঠান। আজ রেড রোডে নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফে রেড রোডে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। 


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথের অনুসারী। আমরা নেতাজির জন্মদিন জানলেও আজও জানি না নেতাজির মৃত্যুদিন। আমাদের সরকার আসার পর আমি ৬৪টি ফাইল প্রকাশ্যে এনেছিলাম। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল অনুসন্ধান করব। নেতাজির তৈরি করা প্ল্যানিং কমিশন বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি সরকার। তার বদলে হয়েছে নীতি-আয়োগ, যার নীতি নেই আয়োগও নেই। দেশের নেতা তাকেই বলে যাঁর চারপাশে থাকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। কিন্তু আজ তাঁর দেখা কোথাও নেই।'


এরপরই আবেগবিহ্বল হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, 'আমি গত কুড়ি বছর ধরে চেষ্টা করেও নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করতে পারিনি। অথচ আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রচারের দিনেও ছুটি ঘোষণা করা হয়। মাঝে কেউ কেউ বলেছিল ছাই পাঠাবো। আমি বলেছিলাম ছাই চাই না, ছাই দিয়ে আগুন চাপা চায় না। আমাদের জীবন্ত নেতাজিকে চাই। নেতাজি আমাদের সেন্টিমেন্ট। জন্মদিনে তাঁর পথেই যেন চলতে পারি, সেটাই স্মরণ করছি।'       


আরও পড়ুন, "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব", নেতাজির দৃপ্তকণ্ঠের এই ভাষণই আগুন জ্বালিয়েছিল পরাধীন মননে


অন্যদিকে, নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমি এবং আমরা বিশ্বাস করি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যদি ভারতবর্ষের আজকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন, তাহলে অখণ্ড ভারত খণ্ডিত হত না। এবং ভারতবর্ষের সকলের মুখে হাসি ফুটত, দারিদ্রতা এবং বেকারত্ব দুর্নীতি ভারতবর্ষ থেকে সমূলে উৎপাটিত হত।' নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠান। আয়োজক অরাজনৈতিক সংগঠন, নেতাজি-গান্ধীজি মর্মর মূর্তি স্থাপন কমিটি। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।