কলকাতা: রিষড়ায় (Rishra) অশান্তিতে বিজেপিকে (BJP) কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সাফ বলেন, রামনবমীর মিছিল কেন ৫ দিন ধরে হবে? বিনা প্ররোচনায় হাওড়া, রিষড়ায় হামলা চালানো হয়েছে। ৬ তারিখেও মিছিলের নামে হামলা করতে পারে, প্রশাসনকে সতর্ক করছি, কোনও সমস্যা যেন না করতে পারে কেউ'।
রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর আজও থমথমে রিষড়া। দোকানপাট বন্ধ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহলদারি।সকালে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চের পাশাপাশি, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর জন্য মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, আজ রিষড়ায় যাওয়ার আগে কোন্নগরেই রাস্তায় আটকানো হল সুকান্ত মজুমদার এবং জ্যোতির্ময় মাহাতোকে। যা নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। বিজেপি কর্মীরা প্রথমে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপর গার্ডরেল ভাঙারও চেষ্টা করে। এরপর গাড়ি থেকে নামেন সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গতকাল রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতারা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, আজ কী পরিস্থিতি রিষড়ায় ?
অন্যদিকে, রিষড়ার হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, গতকালের ওই ঘটনায় যাঁরা আক্রান্ত, পুলিশ তাঁদেরকেই নিগ্রহ ও গ্রেফতার করছে। চিঠিতে পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যাওয়ার সময় রাম নবমীর মিছিলে ইচ্ছাকৃত ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালানো হয়। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি, তরোয়াল ও বোমা নিয়েও হামলা চলে। সেইসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল এবং আক্রান্তদের বাঁচানোর পরিবর্তে তাঁদের গ্রেফতার করে। রাজ্যপাল ও অমিত-শা-কে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।