Covid-19 কেস: দেশে করোনার পরিসংখ্যান ভয় ধরাচ্ছে করোনা। শনিবার (১ এপ্রিল) দেশে নতুন করে ৩৮২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা। একইসঙ্গে গত সাত দিনে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তা তৃতীয় তরঙ্গের পর সর্বোচ্চ।
ভারত গত সপ্তাহে ২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিলের মধ্যে ১৮,৪৫০ টি নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের সংখ্যার তুলনায় ( ৮৭৮১ ) দ্বিগুণেরও বেশি। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ৭ দিনেরও কম সময়ে। শেষবার তৃতীয় তরঙ্গের সময় এমনটি ঘটেছিল যখন দৈনিক পরিসংখ্যান এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছিল।
তবে, এই সময়ে একটাই স্বস্তির খবর, করোনার কারণে মৃত্যুর হার খুব বেশি বাড়েনি। গত সপ্তাহে, করোনার জন্য ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেরালায় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি
গত সাত দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে কেরল এক নম্বরে রয়েছে। কেরলে এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৩৩ থেকে তিনগুণ বেড়ে প্রায় ৪০০০ -এ পৌঁছেছে। অন্যান্য রাজ্যগুলি যেখানে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছেকরোনা সেগুলি হল গোয়া, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ৷
এই রাজ্যগুলির বেশিরভাগেই গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে।গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৯ থেকে ১২০০ তে পৌঁছেছে।
এবার কী কী সমস্যায় ভুগছেন করোনা আক্রান্তরা
প্রত্যেক বার যে ঢেউ গুলি আছড়ে পড়ে, তার পিছনে থাকে কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপট। এবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট এবার করোনা গ্রাফে হঠাৎ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মানুষকে সতর্ক করছেন এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরতে বলছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেদান্ত হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ চেস্ট সার্জারি বিভাগের চেয়রাম্যান অরবিন্দ কুমার পরামর্শ দেন, মাস্ক পরুন এবং যদি কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে কোভিড টেস্ট করিয়ে নিন।
তিনি বলেন, "করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, দেশজুড়ে অক্সিজেনের অভাব ছিল। এদিকে যেসব রোগী আসছিলেন, তাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি সেরকম নয়। এই ভাইরাস এবং নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট আমাদের ফুসফুসকে সেভাবে আক্রমণ করছে না। যদিও রোগীদের মধ্যে দীর্ঘদিন শুষ্ক কাশি দেখা যাচ্ছে। যেসব রোগী আসছেন, তাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে না। তবে, যেসব রোগী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক হতে পারে। তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।''