কলকাতা: দিনক্ষণ সব ঠিক হয়েছিল আগে থেকেই। তা নিয়ে বাড়ছিল জল্পনাও। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) ডাকা বৈঠক এড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। নিজে না গিয়ে হরিয়ানায় শাহের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি করে পাঠালেন নীরজ সিংহকে।


হরিয়ানায় শাহের বৈঠকে গেলেন না মমতা


হরিয়ানার সূরজকুণ্ডে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন শাহ। ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর, এই দু'দিন চলবে বৈঠক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র বিভাগও মমতার হাতেই। তাই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকেও। 


ঘটনাচক্রে ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা পড়েছে। কালীঘাটের বাড়িতে সকাল থেকে তা নিয়েই ব্যস্ত মমতা। শাহের বৈঠকে যোগ দিতে হরিয়ানা যাননি তিনি। বরং বাংলার প্রতিনিধি করে বৈঠকে যোগ দিতে পাঠানো হয়েছে নীরজ সিংহকে। নীরজ রাজ্য পুলিশের এডিজি পদমর্যাদার অফিসার।


তবে হরিয়ানার বৈঠকে দেখা না গেলেও, আগামী মাসে নবান্নেই শাহের মুখোমুখি হতে পারেন মমতা। কারণ আগামী ৫ নভেম্বর নবান্নে ইস্টার্ন কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই মমতা এবং শাহ মুখোমুখি হতে চলেছেন বলে খবর। ৫ নভেম্বরের ওই বৈঠকে থাকার কথা বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীও। 


আরও পড়ুন: TMC: 'সরকারি স্কুল লজ্জা পাবে', বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দেদার প্রশংসা তৃণমূল পুরপ্রধানের


তবে হরিয়ানার বৈঠকে না যাওয়াকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়তে পারেও বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ এর আগে, আমন্ত্রণ এসে পৌঁছনোর পর বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল, শাহের কাছ থেকে শাসনকার্য শিখে আসা উচিত মমতার। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেই সময় বলেন, "ওঁর তো অবশ্যই যাওয়া উচিত। বাংলায় শাসনব্যবস্থার যা অবস্থা, সুরক্ষার যা অবস্থা, তাতে একটু গিয়ে দেখে আসা উচিত কী ভাবে প্রশাসন চালাতে হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। সব জঙ্গি সংস্থার এজেন্ট এখানে পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাংস্টারদের হদিশ মিলছে। হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে, নইলে হয়ত খোঁজ পান না, জানতেই পারেন না। তাই বাংলায় প্রশাসনের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা উচিত।"


মমতার অনুপস্থিতি নিয়ে নতুন করে উত্তাপ বাড়ার আশঙ্কা


যদিও সেই সময় দিলীপকে পাল্টা কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত শাহের, যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বাংলার মতো নিরাপদ করে তোলা যায়।"