আশাবুল হোসেন, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী , দীপক ঘোষ,  কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগ  ( Teacher Recruitment ) কেলেঙ্কারি ঘিরে উত্তাল রাজ্য! গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) । চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল! এই আবহে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে চতুর্মুখী কৌশল নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) ।


সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ
একদিকে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ থেকে তাঁর সরকারের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেন। আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেন। সেইসঙ্গে সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় বিজেপিও। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' আপনারা যদি আমায় বলেন, আপনি হান্ড্রেড পার্সেন্ট কন্ট্রোল করতে পারবেন? ভগবানও হান্ড্রেন্ড পার্সেন্ট কন্ট্রোল করতে পারেন ? আমি কে, আমি একটা সাধারণ মানুষ, কেউ কেউ সঙ্গদোষে খারাপ হয় ! '

'রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স'
রাজ্য সরকারি একাধিক চাকরির ক্ষেত্রে, অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল সরকার। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার কোনটা ‘দুর্নীতি’, আর কোনটা ‘ভুল’...সেই ফারাকের দিকে ইঙ্গিত করে, ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ' নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বলেছিলেন, রাইট টু মেক ব্লান্ডার্স। ভুল করাটাও একটা অধিকার। আর অশোক গাঙ্গুলি, আমার ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সাথে সুসম্পর্ক নেই, কিন্তু তিনি একটা রায় দিয়েছিলেন কোর্টে। যদি কোনও ক্ষেত্রে দেখ, কেউ একটা ভুল করেছে, একটা ভুল হয়ে গেছে, কেউ একটা ডিপ্রাইভড হয়েছে, তাহলে তোমরা এটাকে রেকটিফাই করে নাও। সিপিএমের আমলে বড় একটা স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারি হয়েছিল, এবং উনি সেটাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন।' সব মিলিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে, দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপে ক্রমশ চড়ছে তরজার পারদ। 


নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ সরকারের প্রধান হিসাবে নরমে-গরমে পাল্টা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাতে কি বিরোধীদের আক্রমণের ঝাঁঝ আদৌ কমবে, উত্তর পাওয়া যাবে আগামী দিনেই।