কলকাতা: নির্বাচনী জয়ের পর একুশের মঞ্চকেই উদযাপনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ ধ্বনি তুলেছিলেন তিনি। বুধবার তৃণমূলের (TMC) চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরও সেই সুরই ধরা পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলায়। বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে বিজেপি-কে দিল্লি থেকে তো বটেই গোটা দেশ থেকে উৎখাত করে ছাড়বেন বলে জানিয়ে দিলেন।
এ দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মমতা। তার পরেই ফের কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং বিজেপি (BJP) সরকারকে হটানোর ডাক দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘সব দলেরই কোনও না কোনও রাজ্য থেকে উত্থান ঘটেছে। নেহরুর হাত ধরে উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্থান কংগ্রেসের। বিজেপি-র আসল জায়গা গুজরাত। তেমনই বাংলা আমাদের ভিত্তি। এই বাংলা থেকেই বিজেপি-কে তাড়ানো শুরু হবে।’’
কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে এর আগে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী-সহ বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় তাঁর। কিন্তু জোটের প্রশ্নে বার বার কংগ্রেসের সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছে মমতার।২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার পক্ষপাতী মমতা। কিন্তু কংগ্রেস ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তরফে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: তৃণমূলের আরেক নাম সংগ্রাম, আন্দোলন, মুখে নয়, কাজে বিশ্বাস করে তৃণমূল: মমতা
সেই নিয়ে এ দিন ফের কংগ্রেসকে নিশানা করেন মমতা। বলেন, ‘‘‘কংগ্রেস মেঘালয়, চণ্ডীগড়ে বিজেপি-র হয়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম, বিজেপি বিরোধীরা এক জায়গায় আসুক। কিন্তু অহঙ্কার করে কেউ যদি বসে থাকে, তাহলে রবীন্দ্রনাথ বলেই গিয়েছেন, একলা চলো। তবে একটি একটি করে ফুল দিয়েই গোটা মালা গেঁথে নেব আমি।’’
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর সাম্প্রতিক কালে ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে শিকড় বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে মেঘালয়ে সটান বিরোধীদের আসনে পৌঁছে গিয়েছে দল। ত্রিপুরা এবং গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপি-কে উৎখাত করাতেই দলের পরিধি বিস্তারে উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মমতা।