বর্ধমান: জমি বিতর্কে নিজের গরজে কাগজপত্র উদ্ধার করে ছুটে গিয়েছিলেন অমর্ত্য সেনের কাছে। এ বার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati) পরিস্থিতি বিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানালেন, পড়ুয়াদের একাংশ তাঁর সঙ্গে দেখা করে সেখানে হওয়া অত্যাচার, জুলুমের কথা জানিয়েছেন। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের পাশে তিনি রয়েছেন বলেও জানান মমতা।
বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা মমতার
বৃহস্পতিবার বর্ধমানে (Bardhaman News) প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। সেখান থেকেই বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। মমতা বলেন, "গত পরশু বিশ্বভারতীর অনেক ছাত্রছাত্রী আমার কাছে এসেছিল। তাদের উপর জুলুম, অত্যাচার চলছে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, শিক্ষক, কর্মচারীরা জুলুমের শিকার। ছাত্রছাত্রীদের সাসপেন্ড করে রেখে দিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজিরা কমিয়ে দিচ্ছে। অত্যাচার করছে নানা ভাবে।"
গত কয়েক বছরে বিশ্বভারতীর সঙ্গে একাধিক বার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। অমর্ত্য সেনের পৈতৃক ভিটে নিয়ে বিতর্কে তা আরও বেড়ে গিয়েছে সম্প্রতি। সেই আবহে এ দিন মমতা বলেন, "আদালতে মামলা ঝুলছে। সেখানে কী হয় দেখি। তার পর জনগণের আদালতে যা করার করব। জেনে রাখবেন, আমি ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের পাশে ছিলাম এবং আছি। কী করে কী করতে হয়, জানি আমি।"
নিয়োগ নিয়েও এই মুহূর্তে আদালতে মামলা চলছে। সেই নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, "নিজেরা চাকরি দিতে পারে না। আমরা দিলে আদালতে গিয়ে বলছে, অনিয়ম হচ্ছে। বন্ধ করে দিতে হবে। আদালতে যে কেউ যেতে পারে। কিন্তু এখানে চালাকি হচ্ছে, যাতে বাংলায় কেউ চাকরি না পায়। চাকরি তো হবেই। চাকরি হবে সময়েই। কার কত ক্ষমতা আছে দেখি।"
বিশ্বভারতীর সঙ্গে একাধিক বার সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী নিয়ে মমতা এ দিন মুখ খোলার আগে তাঁকে একহাত নেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিবৃতি প্রকাশ করে বেনজির ভাবে আক্রমণ করা হয় মমতাকে। বলা হয়, 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। স্তাবকরা যা শোনান, তাতেই বিশ্বাস করেন তিনি এবং টিপ্পনি করেন'। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী বাড়াবাড়ি করেছেন না কি, নিজেকে আদালতের উপরে ভাবছেন কিনা, এই প্রশ্নও তোলা হয়।