কলকাতা: প্রকাশ্য দিনের আলোয় প্রথমে ধর্ষণ, তার পর নগ্ন করিয়ে রাস্তায় ঘোরানো এবং তখনও যৌন নিগ্রহ, মণিপুর থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ (Manipur Violence)। লাগাতার হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকা মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের এযাবৎকালীন নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নতুন করে। সেই আবহে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মণিপুরের জন্য মন কঁদছে, হৃদয় পুড়ছে বলে জানালেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ২১ জুলাই সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে যান মমতা। সেখানেই মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, "অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা, লজ্জার বিষয়। মণিপুর থেকে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তা এখন ব্লক হয়েছে বটে, কিন্তু যার দেখার আগেই দেখে নিয়েছে। কোর্ডের অর্ডাার রয়েছে, এই ধরনের ভিডিও দেখানো যাবে না, তার পরও।"
ওই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মমতা বলেন, "আমার মনে হল, এ কোন দেশ, যেখানে মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে এমন ছেলেখেলা হয়! আমার হৃদয় পুড়ে গিয়েছে। মন কাঁদছে। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। মেয়েদের সঙ্গে এ কেমন অসম্মানজনক আচরণ! আমরা অপেক্ষা করছি, সুযোগ এলে কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী মিলে মণিপুর যাব।"
বিগত কয়েক মাস ধরেই হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। সেই নিয়ে বিরোধীরা সরব হলে সম্প্রতি বাংলা, বিহার, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিরোধীশাসিত রাজ্যের প্রসঙ্গ টানেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই নিয়ে এদিন মমতা বলেন, "মণিপুরের সঙ্গে বাংলা, বিহার, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়কে জুড়ছে। খারাপ কিছু ঘটলে, তা খারাপই। দেশকে ভেঙে টুকরো টুকরো করছে। রাজ্যপাল বিধানসভার বিলে সই করেন না। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।"
বিজেপি-কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, "আমাদের নাকি সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র! এখন গণতন্ত্র সকলের জন্য নয়, একটি দল যা ইচ্ছা করছে। ওরা সন্ত্রাসের সওদাগর, ইজ্জত লুঠের সওদাগর। আমি অত্যন্ত আহত। মণিপুরের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমার প্রতিবেশি রাজ্য। প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি। আমিও যেতে চাই। সেই মর্মে অনুমতিও চেয়েছি। কিন্তু অনুমতি পাইনি। শুধু নোটেড বলে উত্তর পেয়েছি। নোটেডের অর্থ কী! গেলে বলবে হিংসায় উস্কানি দিয়েছি।"
শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। সেখানেও মণিপুরের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা।