নয়াদিল্লি : ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর আশ্বাস কেন্দ্রের। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে ফোন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রীর। প্রদীপ মজুমদারকে ফোন করে আশ্বাস গিরিরাজ সিংহের। বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানোর দাবিতে আজ সংসদে সরব হয় তৃণমূল। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও দরবার করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিষয়টিকে চালাকি বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার দুমাস আগে টাকা পাঠালে সেই টাকা ব্যবহার করা যায় না, এটা একধরনের চালাকি। প্রতিক্রিয়া মমতার। 


'১০০ দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র'


১০০ দিনের কাজে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ বারবার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে রাণাঘাটের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন, 'ভোট আসলেই ক্যা ক্যা। ৫ তারিখ থেকে ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা এই কাজ করছেন তাঁদের অনুরোধ করব, দয়া করে সকলের নাম তুলবেন। ১৮ বছর হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাঁদের নামগুলি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই তুলবেন।'


এর পরেই সংযোজন, 'অন্য ধর্মের বলে কারও নাম দয়া করে বাদ দেবেন না।' তাঁর অভিযোগ, অন্য কিছু রাজ্যের সীমান্ত এলাকার কোনও কোনও জায়গায় ৩০ শতাংশ লোক বাদ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফের 'অন্যায় অত্যাচার' যাতে না হয়, সে নিয়েও সতর্ক করেছেন পুলিশ-প্রশাসনকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ফের এদিন সে কথা মনে করিয়ে দেন মমতা। কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে কাউন্সিলর, বিধায়করা যাতে সচেতন থাকেন, সে নিয়েও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা না নিয়েও অভিযোগ করেন এরই মধ্যে। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


রাজনৈতিক তরজা


গ্রাম বাংলায় দারিদ্রসীমার নিচে থাকা বাসিন্দাদের, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের নিশ্চিত আয়ের অন্যতম উৎস একশো দিনের প্রকল্প। তৃণমূল সরকার, সবসময়েই এই প্রকল্পকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে এসেছে। ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা, এমনও হয়েছে। এবার সেই প্রকল্প নিয়েই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, গরুপাচার মামলা নিয়ে এখন রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। সব ঠিক থাকলে বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। ঠিক তার আগে ১০০ দিনের প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ তুললেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন তিনি। গ্রাম বাংলায় আয়ের অন্যতম উৎস এই প্রকল্প। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই সেই প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে। 


আরও পড়ুন- 'আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু স্ত্রী-ছেলেকে কিছু কোরো না' লক আপের পথে স্বগতোক্তি মানিক ভট্টাচার্যের