কলকাতা: রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে বলে এ যাবৎ অভিযোগ তুলে এসেছেন তিনি। তবে বরাবরই তাঁর নিশানায় ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার নিজের একদা ছায়াসঙ্গী তথা বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সরাসরি নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বাংলাকে আর্থিক ভাবে অবরুদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি। 


রাজ্যের টাকা আটাকানো নিয়ে বিজেপি-কে নিশানা মমতার


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোলের মধ্যে লাগাতার রাজ্যকে নিশানা করে এসেছেন শুভেন্দু এবং বিজেপি (BJP) নেতারা। রাজ্য়কে 'জব্দ' করতে কেন্দ্রকে তাঁরা পর পর চিঠি দিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। এমনকি খুব শীঘ্র রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারবে না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন। 


সেই নিয়েই বুধবার শুভেন্দুকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, "রাজনীতির নাম করে বাংলাকে বদনাম করে যারা, আর বাংলার নামে প্রতিদিন চিঠি পাঠিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন না, সব বন্ধ করে দিন, অর্থনীতিকে অবরুদ্ধ ব্লক করে দিন, যারা লিখছে এই চিঠিগুলি, তাদের নাম না করে বলি...তাদের নাম বলতেও আমার লজ্জা লাগে। আমি ধিক্কার জানাই।"


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty Update : ‘তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, অনেকে ভাল লোক আছেন’ বললেন মিঠুন


শুভেন্দু এবং বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করে মমতা বলেন, "আমরাও অনেক দিন বিরোধী রাজনীতি করেছি। কিন্তু কোনও দিন উন্নয়নকে স্তব্ধ করিনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, পুরো রাজ্যের টাকা, তা নিয়েও চিঠি লিখেছে যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার অপব্যবহার হচ্ছে।  এরা শুধু বদনাম করতে পারে। কৈকেয়ী, মন্থরা-কুটুস কুটুস করে মিথ্যা কথা বলে, আর কান ভাঙায়। আর দিল্লির সরকারও পারে বাবা! রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে, পার্টি যা বলে তাই করে।"


মিঠুনের মুখেও টাকা আটকে রাখার 'সাফাই'


মমতার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে শুভেন্দু বলেন, "উনি নিয়ম মেনে চলুন, কেউ কোথাও আপত্তি করবে না। আমি যতগুলি আপত্তি করেছি, তথ্য প্রমাণ, অকাট্য যুক্তি রেখে, সেই যুক্তি কেউ ভাঙতে পারবে না। চুরি ধরেছি বলে আমার যন্ত্রণা হচ্ছে।" তবে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যখন টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছেন, সেই সময়ই পুরুলিয়ার জনসভায় টাকার কথা উঠে আসে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া, 'তারকা' নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। রাজ্য হিসেব না দেওয়াতে টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।