ঢাকা : শরিফ ওসমান হাদিকে যেদিন সমাধিস্থ করা হয়েছিল, সেদিনই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। হাদির-হত্যাকারীদের গ্রেফতারির বিষয়ে অগ্রগতি দাবি করেছিল তারা। যদিও, নির্ধারিত সময়সীমার পর রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ জানাল যে, জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল সন্দেহভাজন কোথায় আছে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই।
বিদেশ মন্ত্রকে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক করে আইজিপি খান্দেকার রফিকুল ইসলাম জানান, ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ফৈজাল করিম মাসুদের হদিশ পেতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে বিভিন্ন এজেন্সি। UNB নিউজ এজেন্সি সূত্রের খবর। আইজিপি বলেন, "ফৈজালের শেষ লোকেশন নিয়ে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও খবর নেই। তা পাওয়ার চেষ্টা করছে আমাদের বাহিনী এবং ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। এমনকী নির্ভরযোগ্য এমন কোনও তথ্য নেই যাতে প্রমাণিত হয় যে সন্দেহভাজন দেশ ছেড়ে চলে গেছে।" এর পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "অপরাধীরা প্রায়ই তাদের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেয়। তাছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে কোনও রাজনৈতিক দলের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। যদিও, সঠিক তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।"
হাজার হাজার মানুষের জমায়েত। তার মধ্যেই শনিবার ঢাকার শাহবাগ চত্বরে হাসিনা-বিরোধী ছাত্রনেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে সমাধিস্থ করা হয়। এরপরই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে তাদের গ্রেফতারির বিষয় কতটা এগলো তা জানাতে হবে এই ডেডলাইনের মধ্যে। এমনই দাবি করা হয়। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ওইদিন সাতসকাল থেকে একে একে বহু মানুষ জমায়েত শুরু করেন মানিক মিঞা অ্যাভনিউতে। কেউ গায়ে বাংলাদেশের পতাকা জড়িয়ে আসেন। অনেকে আবার হাদি-হত্যার ন্যায়বিচার চেয়ে স্লোগান তোলেন। 'প্রথম আলো'র তথ্য অনুযায়ী, ইনকিলাব মঞ্চের মেম্বার সেক্রেটারি আবদুল্লা অল জাবের সরকারি আধিকারিকদের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি বলেন, "আগামী ২৪ ঘণ্টা পর, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা (জাহাঙ্গির আলম চৌধুরা) ও সহকারী উপদেষ্টা (খোদা বক্স চৌধুরী)-কে জনগণের সামনে এসে ব্যাখ্যা করতে হবে গত সপ্তাহ থেকে কতটা এগিয়েছেন। যদি তাঁরা উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। সাধারণে মধ্যে এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে লুকিয়ে থাকা আওয়ামি জঙ্গিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে হবে।"