শিলিগুড়ি : "করোনা টিকার সার্টিফিকেটে নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকছে। তাহলে ডেথ সার্টিফিকিটে কেন মোদির ছবি থাকবে না?" আজ এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মোদিকে একহাত নিয়ে বলেন, "কোভ্যাক্সিন যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা বিদেশে যেতে পারছেন না। ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে যেতে পারছেন না, তাহলে মোদি আমেরিকায় গেলেন কী করে? কেন এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল না কোভ্যাক্সিন?
এর আগে গত মার্চ মাসে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে কেন প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন কমিশনে অভিযোগ জানান। তৃণমূলের দাবি ছিল, ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গেই রাজ্যে চালু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। তা সত্ত্বেও করোনা সার্টিফিকেটে রয়েছে মোদির ছবি। এরপর আজ মমতার বক্তব্যে উঠে এল টিকার সার্টিফিকেটে মোদির ছবি-প্রসঙ্গ।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী। কাল উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। যাবেন কার্শিয়ঙেও। আজ শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন মমতা।
সেখানে তিনি বলেন,
- আমরা ৭ কোটি টিকা এখনও পর্যন্ত দিতে পেরেছি
- আমাদের প্রয়োজন ১৪ কোটি টিকা, পেয়েছি ৭ কোটি
- সবাইকে ডবল ডোজ না দিতে পারলে ১০০ শতাংশ বলব কী করে?
- সত্যি কথা বলা ভাল, সত্যি আড়াল করা ঠিক নয়
- দেশে বলা হচ্ছে ১০০ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে
- ডবল ডোজ পেয়েছে মাত্র ২৯ কোটি মানুষ
- করোনার টিকার সার্টিফিকেটে নরেন্দ্র মোদির ছবি
- তাহলে ডেথ সার্টিফিকিটে কেন মোদির ছবি থাকবে না?
- সারা ভারতে এখনও ৩৫ কোটি মানুষ একটি ডোজও পাননি
- ছোটদের জুড়লে সংখ্যাটা ৭০-৭৫ কোটিতে পৌঁছে যাবে
- বাংলায় একটাও টিকা নষ্ট হয়নি
- কোভ্যাক্সিন যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা বিদেশে যেতে পারছেন না
- ছাত্রছাত্রীরা বিদেশে যেতে পারছেন না, তাহলে মোদি আমেরিকায় গেলেন কী করে?
- কেন এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল না কোভ্যাক্সিন?
- ভ্যাকসিন নিলেও সতর্ক থাকতে হবে, মাস্ক পরতে হবে