কলকাতা : কোনও বেসরকারি হাসপাতালও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Card) নিতে অস্বীকার করলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি এর আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই একই সুরে ফের একবার সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে ফের জানিয়ে দেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" 


মমতার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও লাগাতার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন মানুষ-


এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, কেউ যদি চিকিৎসা দিতে রাজি না হয়, তাতে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। কোনও বেসরকারি হাসপাতালও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন ; জিতেন্দ্রর মুখে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, 'শুভবুদ্ধির উদয় হল!' কটাক্ষ তৃণমূলের


কিন্তু তারপরও গতমাসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিম বর্ধমানের দুই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ৫ হাসপাতালে ঘোরার পরও বাঁচানো যায়নি, দুর্ঘটনায় আহত দুর্গাপুরের বাসিন্দা নির্মল মণ্ডলকে। মৃতের পরিবার অভিযোগ করে, যে ৫ হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে গিয়েও পরিষেবা মেলেনি, তার মধ্যে দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল। তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার। মৃতের প্রতিবেশী শান্তশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্রাইভেট হাসপাতাল প্রথমেই জিজ্ঞেস করছে স্বাস্থ্যসাথী আছে। শুনে বলছে বেড নেই। ক্যাশ হলে ব্যবস্থা হবে। কেন এমন হবে।"           


এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swasthya Sathi Card) সমস্ত রোগীকে দিতে হবে চিকিৎসা পরিষেবা। রোগীকে ফেরালে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। কড়া বার্তা দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এদিন ফের সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলায় চিকিত্‍সাক্ষেত্রে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা আছে। খুব ক্রিটিকাল না হলে বাংলাতেই চিকিত্‍সা করুন। আমার রাজ্যের টাকা আমার রাজ্যে থাকলেই ভাল।"