সুমন ঘরাই,  কলকাতা : পাড় ভাঙছে গঙ্গা-পদ্মা ! তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মালদার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার ১৫টি ব্লকের মানুষকে ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নদীভাঙন!


এই প্রেক্ষিতে এবার ভাঙন রুখতে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারাচ্ছেন মালদা-মুর্শিদাবাদ-নদিয়ার ১৫টি ব্লকের মানুষ। দু’ দশক ধরে এই যন্ত্রণা ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। ফরাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের প্রভাব পড়েছে নদীর গতিপথে। 


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০০৫ সালে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দিয়েছিল জলসম্পদ মন্ত্রক। এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ মে লেখা চিঠিতেও তিনি দাবি করেছিলেন, নদী ভাঙন রুখতে ফরাক্কা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ২০১৭ সালে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার পরিধি পরিবর্তন করে কেন্দ্র। একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র সেই ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি।

আরও পড়ুন :


নির্বাচনী প্রচারবিধিতে ছাড় নির্বাচন কমিশনের, পূর্ণ জমায়েতের অনুমতি, বাড়ল প্রচারের সময়ও



চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, গত ১৫ বছরে ২ হাজার ৮০০ হেক্টর উর্বর চাষের জমি নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। অভিযোগ, এত ক্ষয়ক্ষতির পরেও ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।  এর আগেও এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা।  নদীর পাড়গুলিকে রক্ষা করার জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। আর এবার এই চিঠিতে নদী ভাঙনের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরে ২৮০০ হেক্টর উর্বর চাষের জমি ভাঙনের গ্রাসে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে এক হাজার কোটির সম্পত্তির। 


মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ভাঙন একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত বর্ষার সময় নদীর ভাঙন (River Erosion) অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময় চোখের নিমেষে নদী গর্ভে তলিয়ে যায় গ্রাম, গৃহস্থের বাড়ি। এনিয়ে আগেও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।