কলকাতা: নামকরণের রাজনীতি। রঙের রাজনীতি। দুই নিয়েই কেন্দ্রের মোদির সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে ঘোর আপত্তি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্ধোধনে গিয়ে, অভিযোগের কাঠগড়ায় তুললেন 'নমো'কে !


'সাধারণ মানুষ যাকে মনে রাখবে,সেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন'


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমার মা-বাবার মৃত্যুর পর, অনেকেই বলেছিলেন, আপনি মায়ের জন্য একটি ইন্সটিউট করুন। বাবার জন্য কিছু করুন। কিন্তু আমি বলেছি, ওরা এটা চাননি। আমিও এটা চাই না। আমি এটা পছন্দ করি না। সাধারণ মানুষ যাকে মনে রাখবে। সেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।' এরপরেই মোদিকে জোর নিশানা করলেন মমতা। 


বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলনের জার্সি কেন গেরুয়া ? 


জার্সির রঙ কেন গেরুয়া এনিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 'সবকিছু গেরুয়া করে দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি চলছে', এনিয়ে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার কথায়, 'আমরা, আমাদের ভারতীয় খেলোয়ারদের নিয়ে গর্বিত। এবং আমি বিশ্বাস করি যে, ওরা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হবে। উসকো ভি গেরুয়া বানায়া দিয়া।' প্রধানমন্ত্রীর নামে স্টেডিয়াম হওয়া নিয়েও খোঁচা দিলেন তিনি। 'মনিষীর নামে করুন, আপত্তি নেই, কিন্তু সবকিছু এখন হচ্ছে নমোস্তের নামে হচ্ছে। এটা কখনও চলতে দেওয়া যাবে না।' তবে দেশের নামে করলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মায়াবতীকে নিয়েও এদিন বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। 


'আমিও ৩৪ বছর ধরে সংঘর্ষ করেছি, প্রথমে সিপিএম-র সঙ্গে, এখন দিল্লির পার্টি হাউজের সঙ্গে..'


তিনি আরও বলেন,' আমিও ৩৪ বছর ধরে সংঘর্ষ করেছি। আজও করতে হচ্ছে। প্রথমে সিপিএম-র সঙ্গে সংঘর্ষ করেছি। এখন দিল্লির পার্টি হাউজের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে হচ্ছে। সব টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। গরীবদের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। বহুতল বানায় কারা ? শ্রমিকরা, কিন্তু বড় বিল্ডিং তৈরি হয়ে গেলে কেউ তাঁদের খেয়াল রাখে না। কেন্দ্রের মোদি সরকারকে জোর নিশানা করে এদিন ফের রাজ্য সরকারের লক্ষ্মী ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বললেন 'সবই তো করে দিয়েছি।' এরপরেই ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ওরা যদি নিজেদের অ্যাডভার্টাইজিংয়ের জন্য খরচ না করে শ্রমিকদের টাকা দিতেন, তাহলে আমাদের শ্রমিকদের চোখের জল ফেলতে হতো না।'


আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী ২ মাস ধরে বাড়িতে বসে..', 'সরকার' চালানোর সমাধান দিলেন দিলীপ ঘোষ


' আমাদের পুলিশ কর্মীরা, এদের পরিবারকে পুজোতেও সময় দিতে পারেন না'


পুলিশমন্ত্রী এদিন আরও বলেন,' আমাদের পুলিশ কর্মীরা, এদের পরিবারকে পুজোতেও সময় দিতে পারেন না। কোনও উৎসবেই নয়, পুরোপরি আইন-শৃঙ্খলা দেখেন তাঁরা। যদি একটি ভুল হয়ে যায়, তাহলে কত বড় বড় কথা বলা হয় ! পাশাপাশি তাঁদের জীবনটা যে কত কঠিন, কত ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়, বোঝাতে গিয়ে, বালুরঘাটে পুলিশ কনস্টেবলের কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুর কথা বলেন তিনি। কেন চালকরা দেখেন না ? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপরেই বলেন চালকরা পালিয়ে গেলে, সিসিটিভি ফুটেজ কি থাকে না ? অ্যাক্সিডেন্ট হলে খুনের অভিযোগ তুলবেন বলে অবহিত করেন তিনি।