উত্তর ২৪ পরগনা: জয়নগরের পর আমডাঙা। ফের খুন তৃণমূল নেতা (TMC Leader Murder Case)। স্বাভাবিকভাবেই আমহার্স্টকাণ্ড-সহ একাধিক ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। আর এহেন পরিস্থিতিতে 'পুলিশমন্ত্রীর' ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। উঠে আসল শান্তনু সেনের 'সিপিএম-বিজেপি জোটের' প্রসঙ্গও।
'ভাইপোকে দিয়ে দিন, রিজাইন করুন..'
আমডাঙ্গায় তৃণমূল নেতা 'খুন' প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,'কে কাকে প্রটেকশন দেবে? এগুলি তো পার্টির কাজ নয়। রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের কাছে যায় না। মানুষকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ক্রমশ পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়। প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। কেউ বিরোধিতা করলে, তাকে রেয়াত করা হচ্ছে না। প্রশাসন কোথায়? আইন শৃঙ্খলা কোথায় ? সরকার কোথায় ? মুখ্যমন্ত্রী ২ মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। তিনি চালাতে পারছেন না। অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ভাইপোকে দিয়ে দিন। রিজাইন করুন। পুলিশমন্ত্রী অন্য কাউকে করুন। পারবেন না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি ওনাকে ভোট দিয়ে ভুল করেছে?'
শান্তনু সেনের 'সিপিএম- বিজেপি জোটের' তত্ত্ব ইস্যু
শান্তনু সেনের 'সিপিএম- বিজেপি জোটের' তত্ত্ব ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, কার সঙ্গে কি জোট, ওনার সার্টিফিকেট লাগবে না। পাটনায় একসঙ্গে বসে চা খেয়েছেন কারা? বেঙ্গালুরুতে পিকনিক করেছেন কারা? সেখানে কি বিজেপি ছিল? আর এখানে ফিরে এসে আইওয়াশ চলছে। তৃণমূল কোথায় আছে? নিজেদের মধ্যে মারামারি, পুলিশ দিয়ে রাজনীতি। দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করছে পুলিশ অফিসার। না নেতা, না বিধায়ক, কেউ নেই, পুলিশ আছে। তারাই টাকা তুলে দিচ্ছে, তারাই কমিটি করে দিচ্ছে। তারাই পার্টি চালাচ্ছেন।
'আমাদেরও আড়াইশো কর্মীকে খুন করা হয়েছে'
'নিরাপত্তা' ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'আমাদেরও আড়াইশো কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এবার কি মানুষ অস্ত্র নিয়ে নামবে? বিদ্রোহ করবে? পুলিশ কি করবে ? সরকার কি করবে ? অর্ধেক পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও খুন হচ্ছে। এর মানে সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতো খুন হয়। চার্জ শিট হয়না। তার মানে ওরাই সরকারের সঙ্গে মিশে আছে।'
আরও পড়ুন, নদিয়ায় চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে বেধড়ক 'মার', বিক্ষোভ শুরু BJP-র
আমহার্স্ট থানায় 'যুবককে ডেকে পিটিয়ে খুন'
আমহার্স্ট থানায় যুবককে ডেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগের ইস্যুতে তিনি বলেছেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ মানে কি ডান্ডা দিয়ে মাথায় মারা? উনি দিব্যি সুস্থ মানুষ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে থানায় গেলেন। তারপর হঠাৎ মারা গেলেন? পুলিশ কি ডাক্তার? ও নিজে বোঝেনি তার কি সমস্যা? একজন সুস্থ হোক বা অসুস্থ হোক, থানায় গেলেই মারা যাবে? পুলিশ এতো নিষ্ঠুর কেন? প্রকৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ তলে তলে তাদের সঙ্গে সাঁট আছে। আর যারা সাধারণ মানুষ, তাদের সঙ্গে এই ব্যবহার, হত্যা করা হচ্ছে, এটা কোনও সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না।'