কলকাতা: সম্প্রতি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (Soumendranath Mukherjee)। কিন্তু আচমকা এই সিদ্ধান্ত কেন ? নিয়োগ থেকে রেশন, তৃণমূল জমানায় একের পর এক দুর্নীতি মামলা নিয়ে কী অভিমত? এবিপি-র এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রতিক্রিয়া দিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
'অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে হয়তো আমাকে আর দরকার নেই রাজ্য সরকারের'
সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'প্রধান কারণটা হল,নিউজ ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছিল আমি নাকি জানিয়েছি সরকারকে, যে আমি ইস্তফা দিতে চাই। সেটা আমি কোনও দিন করিনি। আর রাজ্য সরকার থেকে কেউ বলেনি, এই খবরটা ভুল। তো আমি মেনে নিলাম যে, হয়তো আমাকে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে এখন আর দরকার নেই। সেই জন্য এই ইস্তফাটা দ্রুত দিলাম।' ইস্তফাপত্র শুধুমাত্র রাজ্যপালকে কেন পাঠানোর সিদ্ধান্ত ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,'রাজ্যপালই অ্যাপয়েন্টিং অথরিটি। তাই রাজ্যপালকেই লিখলাম। আর তো কেউ অ্যাপয়েন্ট করেনি আমাকে।'
' দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, তার তদন্ত সবসময় দরকার, রাজ্য সরকার সেটা আটকাতে পারে না'
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে তিনি থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি-সহ ভুরিভুরি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। যার জেরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে তৃণমূলের সরকার। সরকারের একাংশ বা প্রশাসনের একাংশের মত ছিল যে, সরকারি আইনজীবীদের এটা একটা সার্বিক ব্যর্থতা। এই প্রসঙ্গে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদে থেকে আমি যা কাজ করেছি, প্রচন্ড ইনটেনসিটি দিয়ে, সরকারের ভালর জন্যেই। কিন্তু যদি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তার তদন্ত হওয়া সবসময় দরকার। রাজ্য সরকার সেটা কোনও সময়, কোনওভাবে আটকাতে পারে না।'
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী ২ মাস ধরে বাড়িতে বসে..', 'সরকার' চালানোর সমাধান দিলেন দিলীপ ঘোষ
'আমার মনে হয়, নিজের মান-সম্মান বজায় রেখেই সবাইকে কাজ করা উচিত'
তিনি আরও বলেন, 'কেউ যদি কাজ করতে না পারে, তাহলেই ইস্তফা দেন। অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্য সরকারের তরফে কেউ যোগাযোগ করেনি। রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ অনুরোধ করলে পুনর্বিবেচনা করবেন? আমি বলেছিলাম না। অভিমানের কোনও ব্যাপার নেই, যে ধরনের সমর্থন প্রত্যাশা করেছিলাম, তা পাইনি। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা না পেলে পদে থেকে কোনও লাভ নেই। আমার মনে হয়, নিজের মান-সম্মান বজায় রেখেই সবাইকে কাজ করা উচিত।'