কলকাতা: বছর পেরোলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বড়সড় বিরোধী জোট বানিয়ে ময়দানে নেমেছে 'INDIA'। সম্প্রতি লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল এই বিরোধী জোট। আর সেই বিরোধী জোট 'INDIA' কে নিশানার পাশাপাশি নাম না করেই মোদির আক্রমণের মুখে পড়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল (Congress and TMC)। বক্তব্য ছিল বিরোধী জোটে যতই থাকুক 'পাশাপাশি', আদতে বাংলায় তারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আজ তার উত্তরই কি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? 


নেতাজি ইন্ডোরে ইমামদের সম্মেলনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, 'বিজেপির কিছু কিছু নেতা সংখ্যালঘুদের ভাগাভাগির জন্য টাকা দিচ্ছে। একসঙ্গে বোর্ড গঠন করছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। হিংসা লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি' তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, 'ফুরফুরা শরিফকে আমরা সম্মান করি, আশাকরি তাঁরা রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করবেন না। আমাদের ধর্ম আমাদের প্রাণে, আঘাত আসলে আমরাই লড়াই করি। আমার রাজ্যে এনআরসি করতে দিইনি, করতে দেবও না। বাংলায় এনআরসি নিয়ে আন্দোলন করছি, অসমে এফআইআর করছে।'


এরপর বাম-বিজেপিকে একসঙ্গে তোপ দাগেন তিনি। মমতা বলেন, 'আবার করে দেখাব, কিছু করলে উত্তর পাবে, আমরা এজেন্সির ভয়ে মাথা নত করি না। সিপিএম কত চক্রান্ত করেছে, সারদাকে এনেছে, কিছু হয়েছে, সমঝোতা হয়ে আছে। সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের অভিযোগে আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল কাউকে রেয়াত করে না, ইমাম-সম্মেলনে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


আরও পড়ুন, 'অভিযুক্তরা শাসক ঘনিষ্ঠ বলেই আড়ালের চেষ্টা ?' বালিগঞ্জকাণ্ডে বিস্ফোরক প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার


প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমি ফাইনাল ছিল পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোটের পর ইতিমধ্যেই কিছু সমীকরণ বদলেছে। একুশ বিধানসভা নির্বাচন, কলকাতা পুরভোট, যাবতীয় উপনির্বাচন এবং সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ইতিমধ্যেই সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজ্যে। তবে ৫ রাজ্যের ভোটের পর চলতি বছরে একের পর এক বিধানসভা ভোটে গেরুয়া ঝড় উঠলেও গ্রাফ বদলেছে কর্ণাটক। তার উপর বিরোধী জোট INDIA-র বৈঠকে চাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। আর বিরোধীদের তরফে একযোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগা চলছে। তবে মোদির বক্তব্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের বিরোধী জোটের রাজনৈতিক দলগুলি কি রাজ্যে অন্য সমীকরণ তৈরি করতে পারে, তা সময়ই বলবে।