কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এখন রাজ্যের অন্য়ান্য বিশ্ববিদ্যালয়েগুলিতেও চাপা পড়ে থাকা নির্যাতনের ঘটন প্রকাশ্য়ে আসছে। প্রায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন সজাগ। র্যাগিং রুখতে প্রথম বর্ষের জন্য পৃথক হোস্টেলের ব্যবস্থা করছে অনেকেই। তবে পুনরায় যাতে মা-বাবার কোল ফাঁকা না হয়, সেই ইস্যুতেই এদিন র্যাগিং বন্ধে (Ragging) লালবাজারে টোল ফ্রি নম্বর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মূলত এদিন ছিল নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেখানে এসেই এদিন র্যাগিং ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি র্যাগিং বন্ধে লালবাজারের টোল ফ্রি নম্বর শেয়ার করেন। অ্যান্টি র্যাগিং টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৮০০-৩৪৫-৫৬৭৮। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মক্ষেত্র, কোথাও র্যাগিং হলে ফোন করে জানান। অভিযোগকারীর নাম-পরিচয় গোপন থাকবে। কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার', এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি যাদবপুর মেন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছে ভয়াবহ ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। আর সেই সঙ্গেই জড়িয়েছে রাজনীতির রংও। গতকাল নেতাজি ইন্ডোরে ইমামদের সম্মেলনে মমতা বলেন,'যাদবপুর নিয়ে আগে গর্ব করতাম, অথচ একটা ছেলেকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল। এরা জীবনে বদলাবে না, এত রক্ত নিয়েও এরা বদলায়নি।'
এর আগেও যাদবপুরকাণ্ডে সিপিএমকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'এরা মার্কসবাদী, কখনও বিজেপির সঙ্গে, কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করে। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগাতে দেয় না।' মুখ্যমন্ত্রী সেবার বলেছিলেন, 'নিহত ছাত্রের বাবা আমার কাছে বিচার চেয়েছেন। অত্যাচার করে ছেলেটাকে উপর থেকে ছুড়ে ফেলে হয়েছে। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। যাদবপুরে পড়াশোনা ভাল হতে পারে, কিন্তু পড়াশোনায় ভাল হলেই মানুষ হয় না। এই জন্যই আমি যাদবপুরে যেতে চাই না।'
আরও পড়ুন, 'আমাদের পরিবারকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে..', এজেন্সিকে আক্রমণে মমতা
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্যাম্পাসে র্যাগিং ঠেকাতে উদ্যোগী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ২ টি আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি গার্লস হস্টেল ও আরেকটি বয়েজ হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গিরিবাবু লেনের বয়েজ হস্টেলে রাখা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের।