ঋত্বিক প্রধান, মন্দারমনি: অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের আরও কাছে অশনি। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। কলকাতায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। আগামী ২-৩ ঘণ্টা ধরে বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মন্দারমনি কোস্টাল থানার অন্তর্গত দাদনপাত্রবাড় এলাকাবাসী।  


কী নিয়ে চিন্তা? 


সমুদ্র আর গ্রামের মাঝখানে নেই কোন গার্ড ওয়াল। তাই যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে সমুদ্রে অল্প জলোচ্ছ্বাসে তা সরাসরি আঘাত হানে এই গ্রামে। গতবছর ইয়াশ এর ফলে ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি হয় এই এলাকায় ভেঙে যায় বহু বাড়ি। জলের তোড়ে ভেসে যায় নৌকো, মৎস্যজীবীদের জাল। বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে কোমরসমান জল। বাড়িঘর ছেড়ে সবাইকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল বিভিন্ন উঁচু জায়গায়। সেই ক্ষত এখনো দগদগে এখানে। এই মধ্যে ফের ঘূর্ণিঝড় অশনির আতঙ্ক।                                                   


আরও পড়ুন, দূরপাল্লার ট্রেনে এবার থাকবে 'বেবি বার্থ', দিতে হবে আলাদা ভাড়া?


এলাকাবাসীর দাবি


এলাকার বাসিন্দাদের দাবি এই এলাকায় গার্ড ওয়াল তৈরি করা হোক, যাতে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের হাত থেকে সমুদ্র ও গ্রামের মাঝখানে গার্ডওয়াল তাদেরকে জলোচ্ছ্বাস এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। নাহলে প্রতিবছর একের পর এক জলোচ্ছ্বাস আসবে আর প্রতিবার এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের।


অন্যদিকে, অশনির আশঙ্কার মাঝেই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠল। সেচ দফতরের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।গতবছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হলদিয়ার বাঁশখানা জালপাই গ্রামে হলদি নদীর বাঁধ। সেইসময় বালির বস্তা ফেলে রক্ষা মেলে। এবার দিনকয়েক আগে তড়িঘড়ি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেচ দফতর। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। এদিন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর।