কলকাতা: ২১ মার্চ পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জেল হেফাজত। আর এদিনের শুনানিতে জামিনের কাতর আবেদন জানান তিনি। সপরিবারে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমাকে ছেড়ে দিন, না হলে অর্ডার দিন, যাতে সকালে চোখ না খোলে।'
শুনানিতে জামিনের কাতর আবেদন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সপরিবারে জেলে রয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর গ্রেফতারির পর পার হয়েছে ১৫৪ দিন। এদিন মানিক ভট্টাচার্য বলেন, 'এমন অর্ডার দিন, যাতে রাতে ঘুমোলে, সকালে যেন চোখ না খোলে।' নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে কাতর আবেদন প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতির। ‘চন্দন মণ্ডল বা অন্যরা চাকরি দিয়ে থাকলে আমি কী করব?’ দাবি মানিকের। মঙ্গলবার মানিকের জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আগেই ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গত শুক্রবার সেই মামলাতেই যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি।এই দু'জনের সরাসরি যোগসাজশ ছিল বলেও গোয়েন্দা সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।ED সূত্রে দাবি, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে সুপারিশ করতেন শান্তনু। মানিকের বাড়ির মতো শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও প্রচুর চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ED সূত্রে দাবি, চোখে পড়ার মতো বিষয় হল,মানিক ভট্টাচার্যর ফ্ল্যাট থেকে যে তালিকা উদ্ধার হয়। তার মধ্যে থাকা বেশ কিছু নাম ছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে মেলা তালিকাতেও।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে আরও দাবি, শান্তনুর সুপারিশে ৩১২ জনের মধ্যে ১০ জনকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন মানিক। ৭ বার জিজ্ঞাসাবাদের পর, শুক্রবার শান্তনুকে গ্রেফতার করে ED. ইডি সূত্রে দাবি, মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে, প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারির চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন শান্তনু। সংগঠক শিক্ষকদের চাকরির ইন্টারভিউতে ডাক পাইয়ে দেওয়ার জন্য় মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হত। ED সূত্রে আরও দাবি, অযোগ্য প্রার্থীদের দেওয়া টাকা কখনও কুন্তল ঘোষ মারফৎ শান্তনুর হাতে আসত। আবার কখনও সরাসরি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন শান্তনুও।
আরও পড়ুন: North Dinajpur: বাড়ি থেকে উদ্ধার আগেয়াস্ত্র, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাফল্য জেলা পুলিশের