কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। এবার তৃণমূলের বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, সেই মানিক ভট্টাচার্যর 
একটি মেডিক্য়াল বিল জমা দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বিধানসভায়।


নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত বিধায়কই বিধানসভা থেকে চিকিৎসার খরচ পান। তার জন্য তাঁকে প্রেসক্রিপশন এবং ওষুধের বিল জমা দিতে হয়। সেই বিল খতিয়ে দেখার পর, বিধায়কের অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি বিল জমা দেন বিধানসভায়। বিলের তারিখ খতিয়ে দেখার সময় ধরা পড়ে, বিলটি যে সময়ের, তখন মানিক ভট্টাচার্য জেলে ছিলেন। জেলের সমস্ত বন্দির খরচ মেটায় জেল কর্তৃপক্ষ। তাহলে এই বিল কেন? বিধানসভা সূত্রের খবর এই নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয়।


সূত্রের খবর, মানিক নানা রকম আইনগত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তা নিয়ে আবার আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
কিন্তু তাঁরাও জানিয়ে দেন, জেলে থাকার সময় ওষুধ এবং চিকিৎসার সমস্ত খরচই জেল কর্তৃপক্ষ বহন করে। 
তাই আলাদা করে অর্থ বরাদ্দের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সূত্রের খবর, সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকেও ডেকে পাঠান বিধানসভার অধ্যক্ষ। বিল মেটানোর নিয়ম কী, তা নিয়ে জেল সুপার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রায় ২৩ মাস তিনি জেলে বন্দি ছিলেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তারপর বিধানসভায় তাঁর চিকিৎসার বিল জমা নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। 


কিছুদিন আগে কাঞ্চন মল্লিকের সন্তানের ডেলিভারির বিল জমা দেওয়ার পর , সেই বিলের অঙ্ক নিয়ে বিতর্ক ডানা বাঁধে। সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ট্রোলের বন্যা বয়ে যায়। এবার বিতর্কে মানিক।  


আরও পড়ুন :


গায়ক চরণ দাসের জেল যাত্রা টেনে কোর্টে ধমক খেলেন কুন্তল ! নিয়োগ দুর্নীতিতে ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন