সনৎ ঝা, দার্জিলিং: ভয়াবহ বন্যায় গোটা অসম যখন বিধ্বস্ত, তখন প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল উত্তর-পূর্বের আরেক রাজ্য মণিপুরে (Manipur landslide ) । মণিপুরের টুপুলে সেনা ক্যাম্পে ধস নেমে নিহত বেশ কয়েকজন জওয়ান! নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের ১০ জন (Territorial Army ) । খোঁজ নেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের এক জওয়ানের। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ মন্তব্য করেছেন মণিপুরের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ ঘটনা আর ঘটেনি ! বেড়েই চলেছে মৃতর সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, মৃতর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সুদূর উত্তর-পূর্বের রাজ্যের ঘটনায় ভেসে গিয়েছে বাংলার বহু পরিবার। কোল খালি হয়েছে বাংলার মায়ের, আবার কোনও স্ত্রীর আশা হয়েছে চিরতরে শেষ। ঘটনায় শোকস্তব্ধ নিহত জওয়ানদের পরিবার-পরিজন।
বাবার অপারেশনের জন্য ঘরে ফেরার কথা ছিল
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বাসিন্দা জওয়ান শঙ্কর ছেত্রী নির্মাণকাজের ( Territorial Army Camp near the Tupul yard railway construction site ) নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আগামী মাসেই বাবার অপারেশনের জন্য ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগেই ঘরে ফিরল তাঁর মৃত্যু সংবাদ। প্রবল উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়ার ঘোড়ারাস গ্রামের বাসিন্দা সেনা জওয়ান মহিউদ্দিন আহমেদের পরিবার। বুধবার সন্ধেয় পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়। বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসে দুর্ঘটনার খবর।
প্রেক্ষাপট
বুধবার, ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। মণিপুরের নোনে জেলায় টুপুলে রেলওয়ে নির্মাণ শিবিরে ভয়াবহ ধস নামে। ধসের নিচে চাপা পড়েন সেনা, রেলকর্মী থেকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন। সেই সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে।
শনিবার সকালে পাওয়া খবর অনুসারে, রাজ্যে ফিরছে মণিপুরের ধসে মৃত টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০ জওয়ানের দেহ। এদের মধ্যে দার্জিলিং, মিরিক ও কার্সিয়ঙের ৯ এবং এক জওয়ান জলপাইগুড়ির বানারহাটের বাসিন্দা। দুটি বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে ১০ জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ। বাগডোগরায় নামার পর নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে। সেখানে গান স্যালুট দেওয়ার পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেহ।