সন্দীপ সরকার, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য় বলছে, ২০২৪-এ শীতের শুরুতেই এরাজ্য়ে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা HMPV। কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছিল একাধিক শিশু। পরিসংখ্যান বলছে, ডিসেম্বরে ৫, নভেম্বরে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছিল এই ভাইরাসে। আক্রান্তরা প্রায় সকলেই শিশু। বেশিরভাগেরই বয়স ৩ মাস থেকে ১৪ বছরের মধ্য়ে।
চিকিৎসক অভিরূপ সরকার জানাচ্ছেন, ' অক্টোবর থেকেই কেস পাচ্ছি। জিনোম সিকোয়েন্সিং না করলে কেউ HMPV আক্রান্ত কিনা বলা যাবে না।
গত কয়েকদিনে HMP ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে একাধিক রাজ্য়ে। তবে এরাজ্য়ের বিভিন্ন হাসপাতালের নথি ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, আগেই এরাজ্য়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ মেলে। ডিসেম্বরে ৫ জন HMP ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্য়ে ৪ জন শিশু। ২ জনের বয়স ১ বছর, বাকি ২ জনের ৩ বছর। এছাড়া রয়েছেন আসানসোলের বাসিন্দা, ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধা। নভেম্বরে, ১১ জনের শরীরে HMPV সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু। তবে, ৬৫ বছরের এক প্রবীণা এবং ৩৮ বছরের এক মহিলার শরীরেও মেলে সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোর তরফে জানা গেছে, এরা প্রত্য়েকেই এখন সুস্থ রয়েছেন।
চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্য়ায় জানাচ্ছেন, নিউমো ভাইরাস অনেকদিন ধরেই বিদ্যমান। ২০১৬ সালেও এমন ধরনের উপসর্গ নিয়ে অনেকে আক্রান্ত হয়েছিল। তিনি মনে করছেন, এইচএমপি ভাইরাস কোভিডের মতোই RNA ভাইরাস। চরিত্র বদলাতে পারে। চরিত্র বদলে অনেক সময়ই ক্ষতিকারক হয়ে যায় ভাইরাস।তাই পরিস্থিতির উপর নজর রাখার দরকার বলে মনে করছেন তিনি। তবে আতঙ্কিত নয়, সাবধান হতে হবে। চিকিৎসক সাবধান করলেন, বাচ্চারা সর্দিকাশি হলে স্কুলে যেন না যায়। সেই সঙ্গে মাস্ক পরার উপরও জোর দিচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে হবে বারবার করে হাত ধোওয়ার অভ্যেস।
ডিসেম্বরে, HMP ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তৃণমূল বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডের নাতনি অর্থাৎ শ্রেয়া পাণ্ডের মেয়ে।
এখন পুরোপুরি সুস্থ সে। শ্রেয়া জানালেন, ডিসেম্বরে শরীর অসুস্থ হয় তাঁর। সোয়াব টেস্টে ধরা পড়ে এইচএমপিভি। জ্বর ও নিঃশ্বাসের সময় ঘরঘর শব্দর মতো উপসর্গ হয়েছিল তাঁর।
চিকিৎসকরা বলছেন, HMP ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত না হলেও, অবশ্য়ই সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : গায়ক চরণ দাসের জেল যাত্রা টেনে কোর্টে ধমক খেলেন কুন্তল ! নিয়োগ দুর্নীতিতে ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন